দৈনিক খবর

কুয়েতের কৃষি খাতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের দাপট

ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে কুয়েতের সালুয়া অঞ্চলে বসেছে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা। রোববার (১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই মেলা মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৯টায় শেষ হবে। মেলায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফলমূল, ঔষধি গাছ ও ফুলের চারার পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আর এসব দোকানের বিক্রেতার সিংহভাগ বাংলাদেশি।

পারস্য উপসাগরের তীরঘেঁষা মরুর দেশ কুয়েত জনগণের সবজি চাহিদা পূরণে এক সময় পরনির্ভরশীল ছিল। মরুর দেশটিতে লবণাক্ত পানিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হচ্ছে মিঠা পানি, আর সেই পানি ব্যবহার হচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি, ফলমূল ও ফুলের উৎপাদনে। মূলত দেশটির এক প্রান্তে অফরা, আরেক প্রান্তে আবদালী- এই দুই কৃষি অঞ্চলে উৎপাদিত হচ্ছে এসব ফসল।

স্থানীয়ভাবে টমেটো, আলু, শসা, ফুলকপি, লালশাক, শিম, লাউ, মরিচ, মুলা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ঔষধি গাছ ও ফুলের চারা উৎপাদিত হচ্ছে। এসব সবজি নিয়ে শীত মৌসুমে কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উন্মুক্তভাবে বসে কৃষি মেলা।

এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বছরের শুরুতে সালুয়া অঞ্চলে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব দোকানের বিক্রেতার সিংহভাগ বাংলাদেশি। উন্মুক্তস্থানে ছোট ছোট তাবুতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির ফলমূল, ঔষধি গাছ ও ফুলের চারার পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রবাসী বাংলাদেশি বিক্রেতাদের দেশীয় স্টাইলে পণ্যের বিদেশি নাম দেয়া আর মূল্য নিয়ে হাঁক-ডাকে মুখরিত থাকে মেলাস্থল।

সৌদি, জর্ডান, লেবানন, ওমান, ইয়েমেন, ভারত, ফিলিপাইনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফলমূল ও সবজি আসে এখানে। বিভিন্ন সুপার শপ থেকে কম মূল্যে মেলায় শীতকালীন তাজা শাক-সবজি পাওয়ায় স্থানীয় নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী ক্রেতার সমাগম হয়।

দিন দিন কুয়েতে সবজির চাহিদা বেড়েই চলেছে। অপার সম্ভাবনার দেশটিতে এরইমধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কৃষি খাতের সিংহভাগ নিজেদের দখলে রেখেছেন। কৃষি কাজে আরও দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারলে এই খাতে বাংলাদেশিরা বিপ্লব ঘটাতে পারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

Related Articles

Back to top button