opinionদৈনিক খবর

শেখ হাসিনার এই দালালটির লেখা পরে দুঃখের চেয়ে হাসি পেলো বেশি : জুলকারনাইন

আশরাফুল আলম খোকন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ-প্রেস সচিব। তিনি একটা সময়ে বাংলাদেশে বসবাস করলেও বর্তমানে তিনি রয়েছেন দেশের বাইরে। কাজ করছেন সেখানেই। এ ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি বেশ সক্রিয় থাকেন সব সময়।সম্প্রতি তার একটি লেখনী নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরী হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। এ নিয়ে এবার একটি লেখনী লিখেছেন জার্নালিস্ট জুলকারনাইন সায়ের। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু :-

নাথিং পার্সোনাল।

এই ফ্যাসিবাদের দালালটির এই লেখা দেখে দুঃখের চেয়ে হাসি পেলো বেশি। কারণ এর প্রায় প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেই সে ফ্যাসিবাদের পা লেহন করে। অবশ্য অস্বাভাবিক না; হাসিনাতন্ত্রের এই সৈনিকটিকে তো সব সময় এই প্রমাণ রাখতেই হবে যে সে হলো হাসিনাতন্ত্রের বাধ্যগত সন্তান।

ইনিয়ে-বিনিয়ে সে দুঃখী মানুষের দুঃখ অনুভব করার পাতানো গল্প বলতে চাইলো। অথচ এ কখনো বলবে না যে হাসিনাতন্ত্রের চোরগণই দেশের এমন অবস্থা করেছে। এখন মানুষের হাতে কাজ নাই, কাজ থাকলেও আয় নাই— অনেক খুঁজে পাওয়া একটু কাজে সামান্য আয় যদিও বা থাকে; বাজারে লেগে থাকে আগুন।

সেই আগুনের উত্তাপ পার হয়ে কেউ বাজার থেকে পছন্দের জিনিস কিনে ফিরতে পারে না। অনেকে তো পছন্দের দূরের কথা; জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তাই মেটাতে পারে না। ফলে তাদেরকে খাদ্যের আশায়, প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে খাদ্য পণ্য বিতরণের লাইনে ভিখারির মতো দাঁড়াতে হয়। হাসিনাতন্ত্র তাদের ভিখারি বানিয়েছে, এই কথা হাসিনার জুলুমতন্ত্রের এই সৈনিক দেখতে চাইবে না; এটাই স্বাভাবিক।

এবং এই হাসিনা-সৈনিকটি চাইবে না তাদের বানানো দুর্ভাগা ভিখারিদের সামনে ক্যামেরা আসুক এবং পরে পৃথিবী তাদেরকে দেখুক। কারণ পৃথিবী দেখলেই তো হাসিনার সৈনিকদের পরিধেয় খুলে পড়বে এবং পশ্চাদদেশ উন্মুক্ত হয়ে যাবে, তাদের কথিত উন্নয়নের ফাঁপা বুলি ফাঁস হয়ে যাবে।

আর হ্যা, অবশ্যই আল্লাহ যে কাউকে ভিখারির লাইনে দাঁড় করাতে পারেন; এবং হাসিনার সৈনিকদের চেয়ে ভিখারির লাইনে আর কাউকে যথেষ্ট মানানসই লাগবে না। নিশ্চয় আল্লাহর বিচারের চেয়ে বড় কিছু নেই।

প্রসঙ্গত,আশরাফুল আলম খোকন একটা সময়ে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা। এরপর তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তিনি পালন করেন সেই দায়িত্ব। এরপর পাড়ি জমান বিদেশের মাটিতে।

Related Articles

Back to top button