দৈনিক খবর

আমিরের ‘দঙ্গল’কেও হারিয়ে দিলো শাহরুখের ‘পাঠান’

মুক্তির ১১তম দিনে দাঁড়িয়ে ভারতের বক্স অফিসে ৪০০ কোটির গণ্ডি ছাড়াল ‘পাঠান’। বক্স অফিসে টক্কর দিয়ে হারিয়ে দিল আমির খানের ‘দঙ্গল’-কে। শনিবার ভারতের বাজারে পাঠানের সংগ্রহ ২২.৫ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে আয় হয়েছে ৩৮৭ কোটি টাকা। আর তামিল-তেলগু ভাষা মিলিয়ে এই ছবির আয় ৪০১.৪ কোটি টাকা।

বিশ্বজুড়ে ‘পাঠান’ ঝড়। উত্তাল গোটা বিশ্বের বক্স অফিস। ঝড় যেন আর থামতেই চাইছে না। বক্স অফিসে রোজই নতুন নতুন রেকর্ড নথিভুক্ত করছে কিং খানের ‘পাঠান’। ছবি মুক্তির ১১তম দিনে দাঁড়িয়ে ভারতের বক্স অফিসে ৪০০ কোটির গণ্ডি ছাড়াল ‘পাঠান’। বক্স অফিসে টক্কর দিয়ে হারিয়ে দিল আমির খানের ‘দঙ্গল’-কে। শনিবার ভারতের বাজারে পাঠানের সংগ্রহ ২২.৫ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে আয় হয়েছে ৩৮৭ কোটি টাকা। আর তামিল-তেলগু ভাষা মিলিয়ে এই ছবির আয় ৪০১.৪ কোটি টাকা।

বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ লিখেছেন, ‘পাঠান বেশ ভালোই এগিয়ে চলেছে। মুক্তির পর দ্বিতীয় শনিবার এই ছবি ৪০০ কোটির গণ্ডি পার করল। হারিয়ে দিল দঙ্গল-কে। পাঠানের পরবর্তী লক্ষ্য কেজিএফ-২। ’এদিকে রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘পাঠান’-এর কালেকশন ১৮.৬৮ কোটি টাকা। হ্যাঁ, আজ অবধি বাংলা ছবির ইতিহাসে ১০ কোটির গণ্ডি পার করেছে মাত্র চারটি ছবি (পাগলু, আমাজন অভিযান, চাঁদের পাহাড় এবং প্রজাপতি), তবে শাহরুখ-সলমনদের ছবি দেখতে হলে ভিড় উপচে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। তা ফের প্রমাণ করে দিল ‘পাঠান’-এর কালেকশন।

তবে পাঠানের বিজয় রথ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আগামী ৫ দিনের মধ্যে KGF-2-কেও ছাপিয়ে যাবে এই ছবি। তার পরবর্তীতে পাঠানের চ্যালেঞ্জ হবে বাহুবলী-২। যেটি শুধুমাত্র হিন্দিতেই ৫১১ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। রেকর্ড ভাঙাগড়ার এই খেলায় বিশ্ব বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই ৭০০ কোটির গণ্ডি পার করে ফেলেছে এই ছবি।মুক্তির দশ দিনের মাথায় বিশ্ব বক্স অফিসে এই ছবির মোট গ্রস কালেকশন ৭২৫ কোটি টাকা। শেষবার শাহরুখের সবচেয়ে বড় হিট ছবি ছিল ২০১৩তে মুক্তি পাওয়া ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’। তারপর কিং খানের আর কোনও ছবি বক্স অফিসে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ২০১৮-তে ‘জিরো’র ভরাডুবির পর বাদশা আবারে দেখিয়ে দিলেন, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’। যদিও ২০২২-এ বক্স অফিসে বলিউডের কোনও ছবিই সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। কোভিড পরবর্তী সময়ে আমির থেকে অক্ষয় সকলেই বিফল হয়েছেন।

নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে শাহরুখের বলেন, ‘আমরা সত্যি কৃতজ্ঞ দর্শক এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে পাঠানকে এতটা পরিমাণ সমর্থন জোগানোর জন্য। এমন অনেক কিছুই ঘটতে পারত যা এই ছবির আনন্দদায়ক মুক্তিকে সংকুচিত করতে পারতো…. তবে সবদিক থেকে যে ভালোবাসা এসেছে সেটাই আমাদের এই সাফল্য এনে দিয়েছে। এর জন্য আমরা যতই কৃতজ্ঞতা জানাই সেটা কম হবে। আমি আমার সমস্ত সহকর্মীদের তরফ থেকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি দর্শকদের। সিনেমায় আবারও জীবন ফিরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ’।

সূত্র: হিন্দুস্তানটাইমস।

Related Articles

Back to top button