দৈনিক খবর

এবার মিন্নির বিষয়ে অপরাগত প্রকাশ করলেন হাইকোর্ট, নেটিজেনদের মন্তব্যের ঝড়

বরগুনার রিফাত শরীফের ঘটনা দেশ জুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। এই মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। তিনি তার স্বামীর সাথে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় অন্যতম আসামী হন। প্রথম দিকে মিন্নির আসামি হ ওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব নেওয়া না হলেও পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আদালত থাকে সর্বোচ্চ দন্ডে দন্ডিত করেন। এদিকে আজ তার জামিন আবেদনের শুনানি হয়।

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হ”/ত্যা মামলায় মৃত্যুদ”ণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনের শুনানি শুনতে অপারগতা জানান।

আদালতে মিন্নির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর রিফাত শরীফের ঘটনার মামলায় ফাঁ”/সির দণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ১০ প্রাপ্তবয়স্ক আসামির মধ্যে ছয়জনকে মৃত্যুদ”/ণ্ড দেন। সেই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেন তিনি। বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুযায়ী একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃ’ত্যুদ”/ণ্ডাদেশ মঞ্জুর করতে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। এছাড়া গত ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।

মৃত্যুদ”/ণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।

খালাস পেয়েছিলেন মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।

২৬ জুন, ২০১৯ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী মিন্নির সামনে কু”/পিয়ে মারাত্মকভাবে জ”/খম করে। আশ”/ঙ্কাজনক অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের প্রয়ান ঘটে।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনকে আসামি করে পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হ”/ত্যা মামলা দায়ের করেন।

রিফাতের ঘটনার অন্যতম আসামি করা হলে মিন্নি অনেকটা নির্বাক হয়ে পড়েছিলেন। তাকে এই ঘটনার অন্যতম আসামি করা হলে তিনি কিছুটা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। এদিকে মিন্নির বাবা জানিয়েছিলেন, তার জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করবেন।

Related Articles

Back to top button