দৈনিক খবর

২০২৩ বিশ্বকাপে এশিয়ার কোনো দলই ফেভারিট নয়: সাঙ্গাকারা

চলতি বছরে ভারতের মাটিতে বসতে যাচ্ছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তবে এশিয়ার কোনো দলকেই এ আসরের ফেবারিট মানছেন না শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা। গত কয়েক বছরে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা এশিয়ার কন্ডিশন দারুণভাবে রপ্ত করেছে, যাতে বড় ভূমিকা আছে আইপিএলের। আর, সেটিকেই এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বিপজ্জনক হিসেবে দেখছেন সাঙ্গাকারা।

লিওনেল মেসির শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাইশের ফুটবল মহাযজ্ঞ। ফুটবল বিশ্বকাপের আমেজ শেষ হতে না হতেই আলোচনায় ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। চার বছর পর এবছর ভারতে বসতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর। এগারো বছর পর আবারও এশিয়ায় ফিরছে আইসিসি ওডিআই ওয়ার্ল্ড কাপ।

১৯৭৫ থেকে ২০১৯। আগের বারো আসরে মাত্র ৩ বার ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ছিলো এশিয়ানরা। ১৯৮৭ সালে ভারত-পাকিস্তান, ৯৬-এ পাকিস্তান-ভারত-শ্রীলঙ্কা আর সর্বশেষ ২০১১ সালে ভারত-শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ মিলে আয়োজন করেছিলো আইসিসির সবচেয়ে বড় এ ইভেন্ট।

১৯৮৩ সালে কপিল দেবের হাত ধরে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে ভারত, তথা এশিয়ার কোনো দেশ। ভারতের পর ১৯৯২ আর ৯৬ তে এশিয়ার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সর্বশেষ নিজেদের মাটিতে ২০১১ সালে দ্বিতীয়বারের মত ওডিয়াই বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এশিয়ানদের চার বিশ্বজয়ের দুই বারই ঘরের মাটিতে।

২০১৫ এবং ২০১৯, গত দুই আসরে বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্তও পৌঁছাতে পারেনি এশিয়ার কোনো দেশ। এ বছর এশিয়ার একক দেশ হিসেবে প্রথমবার বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। তবে কি এশিয়ানরা এবারের বিশ্বকাপ জয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে?

ক্রিকেট টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা বলেন, আমার মনে হয় ২০১১ সালের পর ক্রিকেট অনেকটাই বদলে গেছে। সে সময় এশিয়ার কন্ডিশন উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য সহায়ক ছিল।

তবে পরের বছরগুলোয় ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা অনেক ভালোভাবে স্পিন বোলিং খেলতে শিখেছেন। এমনকি উপমহাদেশের দলের বিপক্ষেও তারা ভালো করছেন।

সাঙ্গাকারার মতে, আধুনিক ক্রিকেটের ধরনে এসেছে নানা বৈচিত্র্য। যা উপমহাদেশের ক্রিকেটের ধারণা বদলে দিয়েছে অনেকখানি। গত কয়েক বছরে এশিয়ার বাইরের ক্রিকেটাররা এশিয়ান কন্ডিশনে যেভাবে মানিয়ে নিয়েছেন, তাতে আইপিএলেরও বড় ভূমিকা আছে। আর সেটিকেই ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য বিপজ্জনক হিসেবে দেখছেন কুমার সাঙ্গাকারা।

Related Articles

Back to top button