দৈনিক খবর

বিয়েতে ফুলের বদলে পেঁয়াজের তোড়া হাতে কনে

এবার ফিলিপাইনে পেঁয়াজের দামে আগুন। মাংসের দামের চেয়েও বেশি। চরম মুদ্রাস্ফীতির প্রহসনে যেন হঠাৎ করেই আকাশের চাঁদ হয়ে গেছে হেঁসেল ঘরের এই অতি সাদমাটা উপকরণটি। ক্ষোভের অত্যুক্তিতে দেশবাসীর মুখে তার নাম হয়েছে ‘নতুন সোনা’। তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা, হাসিঠাট্টা, সবখানেই এখন পেঁয়াজের প্রলাপ!

সুযোগে পেঁয়াজ নিয়ে রঙ্গ-তামাশায়ও মেতে উঠেছেন রসিক ফিলিপিনীয়রা। সম্প্রতি দেশটির বিয়েবাড়িতে ঘটে যাওয়া এমনই এক ব্যঙ্গ-বিলাসী ঘটনায় মুখর হয়ে উঠেছে ফিলিপেন্সের সামাজিক মাধ্যম। রয়টার্স। সেই ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, ফুলের বদলে হাতে চার কেজি ওজনের বিশাল লাল পেঁয়াজের তোড়া দরে আছেন এক নবদম্পতি।

পেঁয়াজের ঝাঁঝে গরম হয়ে ওঠা দেশটির নাগরিক অসন্তোষের মধ্যেই একেবারে জীবনমুখী এ সিদ্ধান্ত নেয় ২৪ বছর বয়সি কনে এপ্রিল লাইকা বিয়ারে ও বর নোবিস। এমনকি এই বিয়েতে অতিথিদের মধ্যে বিতরণও করা হয় পেঁয়াজ। সঙ্গে শাকসবজিও। ফিলিপাইনে বর্তমানে এক কেজি পেঁয়াজের মূল্য ৭০০ পেসো (স্থানীয় মুদ্রা) যা প্রায় ১৩ ডলারের সমান।

গত মাসে গত ১৪ বছরের রেকর্ড মূল্যস্ফীতি হয়েছে দেশটিতে। সেই থেকেই খাবার, জ্বালানিসহ সবকিছুর দামের মতো গলা উঁচু করেও পাওয়া যাচ্ছে না পেঁয়াজের নাগাল। দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশটির রেস্তোরাঁর মেনু থেকেও বাদ দেওয়া হয় পেঁয়াজকে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া আমদানিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বর্তমানে যেসব চোলাচালান হয় তার মধ্যে ৩০ শতাংশই শাকসবজি। গুদামগুলোতে অভিযান চালিয়ে পোশাকের চালানের মধ্যে লুকিয়ে রাখা পেঁয়াজও উদ্ধার করা হয়েছে। পেস্ট্রি আর রুটিজাত পণ্যেও লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ৫০,০০০ কেজি পেঁয়াজ। প্রেসিডেন্ট ফার্দিনেন্দ মার্কোস দেশের খাদ্য ঘাটতিকে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেন।

Related Articles

Back to top button