বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। সবাই তার সিন্ধান্তে অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে সবাইকে অপেক্ষা করতে বলায় আরো ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। কি বার্তা দিতে চায় মেয়র আরিফুল তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক।
যুক্তরাজ্য সফর শেষে ১৪ দিন পর সিলেটে ফিরেছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিমানবন্দরে বিএনপি ও সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে স্বাগত জানান। এ সময় সিলেট সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে আরিফুল বলেন, দাঁড়াও, সময় হলে সব বলব।
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে পরপর দুইবার সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়া আরিফুল হক চৌধুরীর অবস্থান নিয়ে তার কর্মী-সমর্থকরা এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছেন।
এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের সঙ্গে কথা বলতে গত ২ এপ্রিল লন্ডনে যান আরিফুল হক চৌধুরী। সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর লন্ডনে এক বৈঠকে আরিফুল বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাকে সংকেত দিয়েছেন। তবে এটা লাল সংকেত নাকি সবুজ সংকেত, সেটা সময়ই বলে দেবে।
বিমানবন্দরে আরিফুল হক চৌধুরীকে স্বাগত জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকি, মহানগর বিএনপি নেতা সালেহ আহমদ খসরু প্রমুখ। এ সময় যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এবার সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাই কর্মী-সমর্থকদের চাপে প্রার্থীতা নিয়ে নড়েচড়ে বসেন নির্বাচনে আগ্রহী আরিফুল হক। এ অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডনে যান তিনি।
আরিফুল হকের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি জানান, দুই মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। দলমত নির্বিশেষে সকল মহলে তার একটি গ্রহণযোগ্যতাও তৈরি হয়েছে। ফলে এবার তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তার দল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় বেশ বিপাকে পড়েছেন আরিফুল। এখন দেখার বিষয়, তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন কি না।
আরিফুল বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য। তিনি সিলেট জেলা বিএনপির সদস্যও। এর আগে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আরিফুল। তিনিও ছাত্রদলের সাবেক নেতা।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ 23 মে। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৫ মে। এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এই বিষয়ে এক সংবাদ সূত্র থেকে জানা যায়, বিএনপির চলমান আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও আরিফ নিজের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই শেষ মুহূর্তে তিনি পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। তবে সাবাইকে তার সিন্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করার অনুরোধ করার বিষটি নিয়ে দলিয় নেতাদের মধ্যে সমালোচানার জন্য দিয়েছে।
