দৈনিক খবর

মাস না যেতেই প্রেমিকের হাত ধরে নববধূ উধাও

ভোলায় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে সাবেক প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়ে গেছে এক নববধূ। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নববধূর শ্বশুর ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ভোলা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পালিয়ে যাওয়া নারী ভোলা সদর উপজেলা ধনিয়া ইউনিয়নের বালিয়াকান্দী গ্রামের মো. লোকমান মালের মেয়ে লিমা আক্তার (১৮)।

জানা যায়, প্রায় ২১ দিন আগে দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের বেচু মাঝিবাড়ির মো. ফয়েজ উদ্দিন মাঝির ছেলে মো. মিরাজের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। অভিযুক্ত সাবেক প্রেমিক পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কালু মাঝির ছেলে ফরহাদ।

সাধারণ ডায়েরি ও নববধূর শ্বশুর ফয়েজ উদ্দিন জানান, ২১ দিন আগে লিমার সঙ্গে আমার ছেলে মিরাজের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। গত ২২ জানুয়ারি রাতে মিরাজ ঘুমাতে গিয়ে তার ব্যবহৃত নোকিয়া মডেলের বাটন মোবাইল ফোন দেখতে পান। সবার অজান্তে লিমা ওই মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। একই সঙ্গে সাবেক প্রেমিক ফরহারেদ সঙ্গে ফোনে তার নিয়মিত যোগাযোগ ও খুদে বার্তা আদান-প্রদান হতো। গত ২২ জানুয়ারি রাতে মিরাজ লিমার ফোন পায়। পরে একই দিন ভোররাতেই শ্বশুরবাড়ির সবার অজান্তে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।

শ্বশুরের দাবি, তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ফরহাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মিরাজের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়। নববধূর মোবাইল ফোন থেকে প্রায় শতাধিক খুদে বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে। যার বেশির ভাগ আপত্তিকর।

এদিকে উধাও হওয়া নববধূর মা জানান, লিমার সঙ্গে ফরহাদের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, সেটি আমরা জানতাম না। আমার মেয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পর্কেও জানতাম না। লিমা যে সিম ব্যবহার করতেন, সেটি আমার হারিয়ে যাওয়া সিম।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করেছে নববধূর শ্বশুর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Back to top button