দৈনিক খবর

শুক্রবার যেন শেষ হচ্ছে না, কবে আসবে শনিবার বিকেল?

দীর্ঘ তিন বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে আটকে রয়েছে সিনেমাটি। হলি আ’র্টিজান প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটির মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে মত দিয়েছেন আপিল বোর্ডের সদস্যরা। তবে এরপরেও সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর সিনেমাটি।

শর্ত সাপেক্ষে সিনেমাটি মুক্তির অনুমতি মিললেও এখন পর্যন্ত সেন্সর ছাড়পত্র হাতে পাননি ফারুকী। সামাজিক মাধ্যমে এ নির্মাতা ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে লিখেছেন- ‘আমরা সেন্সর বোর্ডের অপেক্ষায়’। তবে নির্মাতার অপেক্ষার প্রহর আরও কত দীর্ঘ হবে সে বিষয়ে জানেন না কেউ।

সেন্সর বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৩০ জানুয়ারি আরেক পোস্টে ফারুকী লেখেন, ‘সেন্সর বোর্ডের প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমরা এখনও আপনাদের চিঠির অপেক্ষায়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আপিল বোর্ড একটা সিনেমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখে। শনিবার বিকেলের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত দেশি-আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশনের কল্যাণে সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। তারা সবাই তাকিয়ে আছে। আর দেরি না করে চিঠিটা তাড়াতাড়ি পাঠান। আমরা বাংলাদেশকে আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলি। ওদিকে ফারাজ রিলিজ হচ্ছে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে শনিবার বিকেল মুক্তির দিকে, ফারাজের সঙ্গে একই দিন বা এক ঘণ্টা আগে হলেও। সুতরাং এটা দ্রুত সমাধান করেন। আমরা হাসিমুখে সিনেমাটা রিলিজ করি। পৃথিবীর নানা দেশে সিনেমাটা দেখানো হয়েছে, হচ্ছে। ‘

‘এবার বাংলাদেশের মানুষের পালা। পাশাপাশি এটাও আপনাদের ভাবার সময় আসছে, এই নতুন মিডিয়ার যুগে সিনেমা আটকানোর মতো সেকেলে চিন্তা আদৌ কোনো কাজে আসে কি-না। কারণ, যে কেউ চাইলে তার ছবি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্ত করে দিতে পারে। ফলে ছবি আটকানোর চেষ্টা একটা পণ্ডশ্রম, যা কেবল দেশের জন্য বদনামই বয়ে আনতে পারে। ‘

ফারুকী লেখেন, ‘আরেকটা কথা যেটা বারবারই বলছি, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে কারও সিনেমা বানানোর দরকার নাই। দেশের বাইরে থেকে ইউটিউব-ফেসবুকে একটা দশ মিনিটের ভিডিও আপ করে দিলেই হয়। শিল্প রচনার মতো এতো কষ্টসাধ্য পথে যাওয়ার তো দরকার নাই। আর তাছাড়া শিল্পীর লক্ষ্য এতো ন্যারো থাকে না, ভাই। কারও ভাবমূর্তি রক্ষা বা ক্ষুণ্ন করার মতো কাজ তার না। তার লক্ষ্য মহাকালের সঙ্গে তার কালের কথোপকথন! ইতি, আপনাদেরই বঙ্গসন্তান!’

Related Articles

Back to top button