দৈনিক খবর

হারিস রউফের জোরে বল করার রহস্য ‘ডিম’!

পাকিস্তানের জনপ্রিয় তারকা পেসার হারিস রউফ বর্তমানে অবস্থান করছেন বাংলাদেশে। খেলতে এসেছেন চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) নিজের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে প্রথমবার বিপিএল ম্যাচে মাঠে নামেন এই তারকা পেসার। বল হাতে ৪ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পেলেও ছিলেন সাশ্রয়ী, দিয়েছেন মোটে ১৯ রান।

২৯ বছর বয়সী হারিস রউফ লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পিএসএল ও মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে বিগ ব্যাশ মাতিয়ে পাকিস্তান সীমিত ওভারের ক্রিকেট দলে নিয়মিত হয়েছেন। তবে রউফ ভালো বোলিং করলেও তার দল রংপুর অবশ্য ম্যাচ হেরেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

তবে প্রথম দিন বল হাতে নিজেকে মেলে ধরতে না পারার কোনো অজুহাত দাঁড় করাননি। বরং খুলনা টাইগার্সের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের প্রশংসা করেছেন হারিস রউফ।

রউফ জানান,‘আপনারা দেখেছেন উইকেট স্লো ছিল। লো স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে। এক জুটিতে ম্যাচ বের করে নিয়েছে আমাদের প্রতিপক্ষ খুলনা। তামিমকে কৃতিত্ব দিতে হয়। ভালো ব্যাটিং করেছেন তিনিযাতিনি বর্তমান সময়ের অন্যতম জোরে বল করা ফাস্টবোলার।

জোরে বল করতে গেলে করণীয় কি কি? তরুণ ফাস্টবোলারদের জন্য কোনো পরামর্শজহারিস রউফের উত্তর, ‘জোরে বল করার কথা আমার মাথায় থাকে না। আমি ভালো লাইন-লেন্থে বোলিংয়ের চিন্তা করি। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট যদি স্লো ডেলিভারির জন্য ভালো হয়, তাহলে স্লো করা খারাপ কী! উইকেট যদি গুড লেন্থ ডিমান্ড করে তাহলে গুড হার্ড লেন্থ কেন নয়?’

নিজের বোলিংয়ের কথা বলতে গিয়ে এ পাকিস্তানি বলে ওঠেন, ‘আমার মাথায় হার্ড লেন্থে বোলিংয়ের চিন্তা থাকে। এটি গুরুত্বপূর্ণ। গতি নয়। দেখুন, গতি সবসময় সহজাত।’জোরে বল করার ক্ষেত্রে ট্রেনিং ও ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ, মন্তব্য হারিস রউফের। পাশাপাশি ম্যাচ খেলার পরের রিকভারিটাও খুব দরকার।

পেস বাড়াতে হলে কী করা উচিত? এ প্রশ্নে জবাবে হারিস রউফ জানান, ‘আপনি যদি ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার/ঘণ্টাতে বোলিং করেন, তাহলে আরও ৫ কিমি. বাড়াতে পারবেন। এমন না যে ৬-৮ মাসের ট্রেনিংয়ের পর আপনি ১৩০-১৩৫ থেকে ১৫০ কিমি. বোলিং করতে পারবেন। এটি মূলত ৫ থেকে ১০ কিমি. বাড়ানোর বিষয়। ডায়েট ও ট্রেনিং খুব গুরুত্বপূর্ণ।‘

কিন্তু জোরে বল করতে তো অনেক শক্তি প্রয়োজন। আপনি ডায়েটের কথা বললেন, আপনি কী খান আসলে? ‘আমার ইন্টারভিউ দেখলে পাবেন (হাসি)। আমি ডিম খাই। ডিম থেকে মূলত প্রোটিনটা নেই। ফাস্ট বোলারের জন্য প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার শরীরে পরিমিত প্রোটিন থাকলে আপনি মাঠে ভালো পারফর্ম করবেন।’ গতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণের সমন্বয় ঘটিয়েছেন কিভাবে? হারিস রউফ জানান, ‘নেট বোলিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্র্যাকটিসেই আসলে নিজেকে ঘষে মেজে তৈরি করতে হয়।

নেটে বোলিংয়ের সময় নিজের ওপর একটা চাপ তৈরি করে নিতে হয়। এটি প্রয়োজন। অনুশীলনে ঠিকঠাক করে ফেলতে পারলে মাঠে তা করা সহজ হয়। দিনের পর দিন করতে থাকলে উন্নতি হয়। আমারও ধীরে ধীরে আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।’

Related Articles

Back to top button