ঘরোয়া চিকিৎসাচুলের যত্ন

চুলের অকালপক্বতা রোধের ঘরোয়া উপায়

অনেকেরই তরুণ বয়সে চুল পাকার সমস্যা দেখা দেয়। একবার চুল পাকতে শুরু করলে, তা ঠেকানো মুশকিল। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে চুল পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় হঠাৎ একটা পাকা চুল চোখে পড়ল। ব্যস, অমনি কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেল। তাহলে কি বয়স হয়ে গেল? শুধু বয়স হয়ে গেলেই যে চুলে পাক ধরে তা কিন্তু নয়। চিন্তা, ভুল ডায়েট, হরমোনের প্রভাব, এমনকি প্রাকৃতিক কারণে অকালে চুল পেকে যেতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই, অকালে চুল না পাকে তার ব্যবস্থা করতে পারেন সহজেই।

চুলের পক্ষে আমলকি খুবই উপকারী একটা উপাদান। বাজারে যে সব শ্যাম্পু বিক্রি হয়, তাতেও মূল উপাদান আমলকিই থাকে। তবে বাজারের শ্যাম্পু ব্যবহার না করে বাড়িতেই আপনি ভেষজ শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে পারেন। কয়েক টুকরো আমলকি নারকেল তেলে ততক্ষণ পর্যন্ত সেদ্ধ করুন, যতক্ষণ না সেগুলো কালো হয়ে যায়। এরপর সেটা মাথায় লাগান। ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন।

চুল পড়া রোধ করতে বা চুলের অকাল পক্কতা কমাতে পেঁয়াজ খুবই উপকারী। কাঁচা পেঁয়াজের রস চুলে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে শ্যাম্পু করে ফেললে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চুলে মেহেন্দি করলে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অকালে চুল পাকা সমস্যার সমাধানে চা পাতা বেশ কার্যকরী। অল্প পানি কিছু চা পাতা সেদ্ধ করে ঠান্ডা হওয়ার পর চুলে লাগান। কিংবা শুধু চা এর পানিও লাগাতে পারেন। ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন।

মাসে দুইবার চুলে মাখন লাগাতে পারেন। মাখন চুলকে পুষ্টি ও ময়শ্চারাইজ করে। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত নরম মাখন হাতের আঙুলে নিয়ে লাগান। কয়েক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।

চুলের জন্য মেথি খুব উপকারি। মেথি ভেজানো পানি দিয়ে চুল ধুলে চুল কালো হয়। এছাড়া ভেজানো মেথি বেটে তার সঙ্গে ডিম বা দই মিলিয়ে চুলের মাস্ক তৈরি করে তা লাগাতে পারেন, এটি অকালে চুল পাকা রোধে সাহা্যে করবে।

অ্যালমন্ড বা বাদামের তেলের সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। মাঝে মাঝে এটি ব্যবহারে চুল পেকে যাওয়া কমতে পারে।

নারিকেল তেল গরম করে মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসেজ করলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে চুল সাদা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

এছাড়া নিয়মিত পানি, ফলমূল, শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেলে অকালে চুল সাদা হবে না বরং চুল হবে সুন্দর ও ঝরঝরে। আপনার খাদ্য তালিকায় পালংশাক, মাংস, আনারস, ডালিম, বাদাম, গরুর কলিজা, মাশরুম এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখুন। ধূমপান ছাড়ুন।

Related Articles

Back to top button