দৈনিক খবর

এবার সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম, বললেন ‘এটা মানি না’

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বর্তমান সময়ে একটি আলোচিত নাম। তিনি এখন শুধু বিনোদন জগতের একজন ব্যক্তি নন, তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও নিজের নাম লিখিয়েছেন। তিনি বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদীয় পদ থেকে পদত্যাগ করার পর দুটি খালি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। কিন্তু তিনি পরাজিত হন এবং এই ফলাফল রিভিউ করার জন্য আবেদন করেন।

জয়ের আশা হারিয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট এবং একতারা প্রতীকে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পান। বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

তবে বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, তিনি এই ফলাফল মানেন না। সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিলেও আমি ভোট পাইনি তা দেখানো হয়েছে। ভোটের পর আমার এজেন্ট কাগজ চেয়েছিল এবং তাদের কাগজ দেওয়া হয়নি। কিছু জায়গায় দেখানো হয় যে, আমি মাত্র ২৮ ভোট পেয়েছি, কিন্তু সেখানকার লোকেরা বলে যে তারা আমাকে ভোট দিয়েছে।

হিরো আলম বলেন, প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছি। আমি হয়তো কিছু কেন্দ্রে কম ভোট পেয়েছি। কিন্তু এখানে দেখানো হলো আমি নাকি অনেক সেন্টারেই কম কম ভোট পেয়েছি, তাই আমি এ ফল মানি না।

হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জামান রায়হান বলেন, মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছে। ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এ ফলাফল তিনি কোনোভাবেই মেনে নেননি।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ১১২টি কেন্দ্রে মোট ৭৮ হাজার ৫২৪টি বৈধ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল) ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশফিকুর রহমান (ট্রাক) পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯১ ভোট এবং কামরুল হাসান সিদ্দিকী (কুড়াল) পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৪২ ভোট।

শূন্য এই সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে কাহালুতে নারী ভোটার ৯০ হাজার ৯৬৩ ও পুরুষ ৮৯ হাজার ৮৮০ জন। নন্দীগ্রামে নারী ৭৪ হাজার ৪৭১ এবং পুরুষ ভোটার ৭৩ হাজার ১৫৫।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া সদর ও নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনে প্রার্থী ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তবে এই নির্বাচনে তিনি প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জয়ী হয়ে এগিয়ে ছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পারাজিত হন। সেই সাথে তিনি দাবি করেন ফলাফলে তাকে পরাজিত করে দেওয়া হয়েছে। এটা অনেকটা পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। এদিকে ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে কিনা সে বিষয়টি তিনি রিভিউর দাবি তোলেন।

Related Articles

Back to top button