দৈনিক খবরসারাদেশ

আগুন দেখতে এসে নিখোঁজ রাজীব, মা-বউয়ের আহাজারি

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে। সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিমান ও সেনাবাহিনীর সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার। আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে বঙ্গবাজারের এনেক্স মার্কেটের পাশের টিনশেড মার্কেটটিতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে বঙ্গমার্কেটের দোকানদাররা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছে। যে যার মতো দোকান থেকে যতটুকু সম্ভব কাপড় বের করা যায় সে চেষ্টা করছে। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে আশপাশে যাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনেক দোকানদার।

দোকানদার মোঃ রাজীব দেওয়ান। তার বাড়ি বিক্রমপুরে। সেখান থেকে সকালে দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে জানতে পারেন বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুনের ঘটনার কথা। এসময় তিনি স্ত্রীকে আগুন লাগার ঘটনা ফোনে জানান। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। রাজীবের কোন খোঁজ না পেয়ে তার স্ত্রী এবং মা বঙ্গবাজার মার্কেটে এসে খুঁজতে শুরু করেন।

রাজীবের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর নাম মোঃ রাজীব দেওয়ান। বঙ্গবাজার মার্কেটেই তার দোকান। সকাল ৭টা ২৫ মিনিটেও কথা হয়েছে আমার সঙ্গে। মোবাইলে ফোন দিয়ে আমাকে জানায় মার্কেটে আগুন লাগার কথা। বাসার সবাইকে জানাতেও বলে সে। আমি কোথায় আছে জিজ্ঞেস করাতে জানায়, আমি বাবুবাজার ব্রিজের নিচে আছি, সেখান থেকেই জানতে পারলাম, সব শেষ। আমি সেখানে যেতে না করায় বলে, না আমি যাই, দেখি। তারপর থেকেই ফোনে তাকে আর পাচ্ছি না। ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। রাজীবের মা আহাজারি করে বলেন, আমার ছেলেকে তো পাচ্ছি না। তার নিজের দোকান রয়েছে। আমাদের বাসা বিক্রমপুরে, সেখান থেকেই সকালে সে এখানে আসে। বঙ্গবাজারের নিচ তলায় আদর্শ মার্কেটের এক নম্বর গলিতে দেওয়ান গার্মেন্টস নামে তার দোকান ছিল।

এদিকে দোকানিদের অভিযোগ, আগুন লাগার খবর পেলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেরি করে আসায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে আগুন লাগে গুলিস্তান মার্কেটে। সেখানে থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গবাজার মার্কেটে। এখন পাশের অন্য ভবনেও ছড়িয়ে পড়েছে। কাপড়ের মার্কেট হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে মার্কেটের ৫ হাজার দোকান পুড়ে গেছে।

Related Articles

Back to top button