opinionদৈনিক খবর

ব়্যাবকে নিয়ে করা ডয়েচে ভেলের ডকুমেন্টারি ঢাকতে সরকার এই আগুন লাগাইছে:সজীব

বাংলাদেশের টক অব টাউন এখন একটাই আর তা হলো বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ড। আর এই অগ্নিকান্ড নিয়ে এখন একের পর এক উঠছে নানা ধরনের তথ্য আর আলোচনা সমালোচনা। এবার এ নিয়ে একটি বিশেষ লেখনী লিখেছেন সজীব হোসেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-

রাজধানীর বঙ্গবাজারের আগুন লাগা কোনো দূর্ঘটনা নয় বরং এটি একটি নাশকতা। এর আগেরদিন রাতে DW বাংলা একটা ডকুমেন্টরি প্রকাশ করে যেখানে দেখা যায়।

(ব়্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড র‍্যাবের দুই সাবেক কমান্ডার জানিয়েছেন কীভাবে বিভিন্ন ‘অপরাধে জড়াচ্ছে’ অভিজাত পুলিশ বাহিনীটি৷

ডয়চে ভেলেকে সাক্ষাৎকার দেয়া দুই ব্যক্তির তথ্য অনুযায়ী, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা রাজনৈতিক স্বার্থে এই অভিজাত বাহিনীকে ব্যবহার করেন৷

লক্ষ্যবস্তু যদি রাজনৈতিক ব্যক্তি হয় তাহলে কেবল উচ্চপর্যায়ের সুস্পষ্ট অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এটি বাস্তবায়ন করা হয়৷ সাক্ষাৎকার দেয়া এক ব্যক্তি বলেন, এসব ক্ষেত্রে ‘‘সিদ্ধান্ত সর্বনিম্ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসবে৷ বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই আদেশটা প্রদান করে থাকেন৷” অন্য সাক্ষাৎকারদাতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কোনো নির্দেশ দিবেন বলে মনে হয় না৷”)এরপরেই কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের হেডকোয়ার্টার পাশে রেখেই এভাবে একটি মার্কেট জ্বলে ফুঁড়ে ছাই হয়ে যায়।

আগুন যখন প্রাথমিক পর্যায়ে ছিলো তখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা কোনো পানির ট্রাঙ্ক নিয়া ওখানে উপস্থিত হতে পারেনি।

তাদেরকে পানির ট্রাঙ্ক নিয়ে আসার কথা বললে তার বলে উপর থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি!
পরিবর্তিতে তারা যখন পানির ট্রাঙ্ক নিয়ে আসে ততক্ষণে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে বাহিরে চলে যায়। ব্যবসায়ীরা ভিতরে ডুকে মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করলে তারা ব্যবসায়িদের বাঁধা দিয়ে আটকে রাখে।

তারা ততক্ষণে ৪০-৫০ টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট উপস্থিত হয় এবং তারা আগুন নির্বাপক বল নিক্ষেপ করে,কিন্তু এই বল গুলো দিয়ে তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেনি তারা। প্রায় ৬ ঘন্টা পর যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে তখন জানা যায় আগুন নির্বাপক বল গুলো ছিলো নিন্মমানের সেগুলো অনেক গুলো ঠিক করে ব্লাস্ট ও হয়নি । বিষয়টি এখান থেকেই পরিষ্কার যে এটা ষড়যন্ত্র।

ডয়েচে ভেলের ডকুমেন্টরি ডাকতে পরিকল্পনা করে রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লাগানো হয়েছে । এবং এই আগুনে ৫০০০ ব্যাবসায়ির দোকান পুড়ছে ২৯৩১ টি প্রায় ৫০,০০০ শ্রমিক কাজ হারিয়েছে। দোকানিদের হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা।

কোনোভাবেই এটি দূর্ঘটনা হতে পারে না আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এটি একটি নাশকতা র‍্যাবকে নিয়ে করা DW বাংলা এর ডকুমেন্টরি ডাকতে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা আমরা এর সঠিক তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চাই।

প্রসঙ্গত, গেলো পরশু দিন বঙ্গবাজারে সকাল বেলা ধরে আগুন। আর সেই আগুনের লেলিহান শিখা শেষ করে দে এক সময়ের জনপ্রিয় মার্কেটটিকে। সেখানে এখন শুধুই ছাই আর মানুষের আহাজারি ছাড়া আর কিছুই নেই। নিজস্ব হয়ে গেছে হাজারও মানুষ।

Related Articles

Back to top button