আজকের ম্যাচে যেমন হতে পারে দু’দলের সেরা একাদশ
দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষে এবার ওয়ানডে খেলতে ইংল্যান্ড এর বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। বুধবার (১ মার্চ) মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বেলা ১২টায়। এর আগে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন দুই দলের প্রতিনিধিই। দু’পক্ষই ম্যাচে দারুণ লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এ সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ডের পেস বোলিংয়ের প্রশংসা করে হাথুরু বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস বোলিং আক্রমণ তাদের। পাঁচজন পেসার এবং তিন স্পিনার নিয়ে এই সফরে এসেছে তারা। এই সিরিজে তাদের পেস বোলারদের মোকাবেলা করাই কঠিন হবে’।
ইংল্যান্ড দলে নেই বেন স্টোকস কিংবা জো রুটের মতো তারকারা। তবে নিজেদের ঠিকই পূর্ণশক্তির দল হিসেবে বিবেচনা করে টাইগার কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা পূর্ণশক্তির দল, তবে তারা ঠিক পূর্ণশক্তির দল নিয়ে আসেনি। ফলে আমাদের স্কিল ও শক্তিমত্তার ওপর ভরসা রাখছি’।
তিনি আরো বলেন, ‘তবে এটাও বলতে হবে, তাদের শক্তিমত্তা দুর্দান্ত। গত ১০ বছরে তাদের দলে দারুণ গভীরতা তৈরি হয়েছে। প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশই এটা ঈর্ষা করে। প্রতিটি কোচই এমন ডেপথ তৈরি করতে চায়। আশা করি আমিও এমন কিছু করে যেতে পারব এবারের মেয়াদ শেষে’।
তবে সংবাদ সম্মেলনে অলরাউন্ডার মঈন আলি জানান, তার মতে বাংলাদেশ ফেবারিট, তবে নিজেরাও যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সেটাও মনে করিয়ে দিলেন ইংলিশদের তারকা এই অলরাউন্ডার।
মঈন আরো বলেন, ‘কে ফেভারিট বিষয়টা এত গুরুত্বপূর্ণ না (ডাজেন্ট রিয়েলি ম্যাটার)। নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ বরাবরই ভালো। আমরা শেষ ১০ ম্যাচের ৭টাতে হেরেছি, কিন্তু আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
লম্বা সময়ে আমরা আমাদের সেরা দলটা পাইনি। কিন্তু এখন মার্ক উড আছে, জফরা আর্চার আছে। উইল জ্যাকসও দলে যোগ দিয়েছে। কিন্তু দিনশেষে কে ফেভারিট সেটা অতটা ম্যাটার করে না’।
বাংলাদেশের স্পিনিং ট্র্যাক নিয়েও কথা বলেন তিনি, ‘আপনি যখন উপমহাদেশে খেলতে আসবেন, এমনটা ভেবেই আসতে হবে যে ভালো স্পিনারদের বিপক্ষে পরীক্ষা দিতে হবে। বাংলাদেশ দল হিসেবে খুব ভালো,
বিগত কয়েক বছরে তারা অনেক উন্নতি করেছে। শুধু স্পিনাররাই নয়, তাদের পেসাররাও মানসম্মত। আমরা আমাদের সেরা প্রস্তুতি নিয়েই খেলতে নামব। নেটে বাঁ-হাতি স্পিনার ও ডানহাতি অফ স্পিনারদের বিপক্ষে অনুশীলন করেছি, আমরা তাদের শক্তি সম্পর্কে জানি। সেভাবেই প্রস্ততি নিয়েছি।’
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদি মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ:
জেসন রয়, ফিল সল্ট, ডেভিড ম্যালান, জেমস ভিন্সি, জস বাটলার (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), উইল জ্যাক, মঈন আলী, স্যাম কারেন, আদিল রশিদ, মার্ক উড ও জোফরা আর্চার।