দৈনিক খবর

এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ৫৩ সহকর্মীর অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ থেকে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫৩ জন আইনজীবী সই করে একটি অভিযোগ দিয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দেওয়া আইনজীবীদের মধ্যে শাহ মো. কাউসার মিয়া, রফিক ও দাইয়ান বলেন, আমরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে কিছুদিন ধরে আইনজীবী সমিতির নেতাদের নেতৃত্বে আন্দোলন করে আসছি। সর্বসম্মতিক্রমে সবাই আদালতে শুনানিতে অংশ গ্রহণ বর্জনের কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু আইনজীবীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রোববার (৮ জানুয়ারি) আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা মর্মাহত। তাই আমরা ৫৩ জন আইনজীবী সই করে একটি আবেদনে তার বহিষ্কার দাবি জানিয়েছি।

এ বিষয়ে বহিষ্কার হওয়া মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই বিব্রত। এরপর তিনি এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাননি। আদালতের একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একটি মামলাকে কেন্দ্র করে সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে নারী-শিশু নির্যাতন দমন-১ আদালতের বিচারকের বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি।

পরবর্তীতে জেলা জজ, নারী-শিশু আদালতের বিচারকের অপসারণ ও জেলা জজ আদালতের নাজিরের বিচারের দাবিতে ৫ জানুয়ারি থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয় আইনজীবী সমিতি। এদিকে, বিচারকের সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবী অসৌজন্যমূলক আচরণের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১৭ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতিসহ ৩ আইনজীবীকে সমন ও শোকজ করেছে।

Related Articles

Back to top button