Internationalদৈনিক খবর

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে ইতালি, শুরু হয়েছে আবেদন

আবারো বিশ্বের ৩৩টি দেশ থেকে কর্মী নেবে ইতালি সরকার। তবে এর মধ্যে সুখবর পাচ্ছেন বাংলাদেশিরাও। মূলত এই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের ৩৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশেরও কোটা রয়েছে। ইতিমধ্যে ইতালি সরকার এ বিষয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে মোট ৮২ হাজার ৭০৫ জন শ্রমিক নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

করোনার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে ইতালি। আর তার পরেই কর্মক্ষেত্রে দেখা দেয় জনবল সংকট। এই সংকট নিরসনে ইতালীয় সরকার কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ইতালি প্রধানত দুই শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ করবে- মৌসুমী এবং অ-মৌসুমী। মৌসুমী কোটায় ৪৪ হাজার কর্মী নেওয়া হবে। এর মধ্যে কৃষি খাতে ২২ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে। মৌসুমী শ্রমিকদের সাধারণত 9 মাসের ভিসায় নেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৯ মাসের ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তাদের নিজ দেশে ফিরতে হবে। কিন্তু তাদের অনেকেই ইতালিতে থেকে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি কৃষি শ্রমিকদের ৯ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। অবশেষে দুই বছর আগে বাংলাদেশ সরকার ও ইতালি সরকারের মধ্যে আলোচনার পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

অফ সিজন কোটায় ৩৮ হাজার ৭০৫ জন কর্মী নেওয়া হবে। অবকাঠামো নির্মাণ, খাদ্য সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনার চাকরি, ভারী যানবাহন চালক, জাহাজ নির্মাণ, টেলিযোগাযোগ কর্মী। তবে এ ক্ষেত্রে দালালদের থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আবেদনকারীদের অবশ্যই ইতালীয় সরকারের কাছে স্পষ্ট নথি থাকতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকেই প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উল্টো ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ সুযোগে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন অনেকে। এর আগেও এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

২৭ মার্চ থেকে আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করায় ইটালিয়ানসহ অনেক বাংলাদেশি কাফ সার্ভিস অফিস ইতালিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। তারা ফরমগুলো ভালোভাবে যাচাই করে নথিপত্র জমা দিয়ে ফাইল প্রস্তুত করছে।

আশা করা যায় যে সৌভাগ্যবানরা যাচাইকৃত নথি জমা দেওয়ার পরে এই বছর এবং পরবর্তীতে ইতালিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হবেন। এতে করে বাংলাদেশ প্রবাসীদের আয় থেকে রেমিটেন্স পাঠিয়ে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পারি জমায় কর্মের সন্ধানে বিশেষ করে দেখা যায় মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে এই সংখ্যা অনেক বেশি তবে মধ্যে প্রাচ ছাড়াও ইউরোপের দেশগুলোতেও বাংলাদেশিরা গিয়ে থাকে।

Related Articles

Back to top button