কুমিল্লায় ট্রেন দূর্ঘটনার জন্য দায়ী বিদ্যুৎ
সম্প্রতি কুমিল্লায় ট্রেন দূর্ঘটনায় অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেয়ে। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছিলেন আমরা এমন আওয়াজ জন্মেও শুনিনি। এই দূর্ঘটনার পর যাত্রীদের অনেক খারাপ অবস্থায় বগি থেকে টেনে টেনে বের করতে হয়েছে। তাবে এবার এই দূর্ঘনার কারন জানা গিয়েছে।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রোববার রাতের ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে দায়িত্বরত স্টেশন ম্যানেজার বলেন, দুর্ঘটনার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কম্পিউটার সিস্টেম লাইন পয়েন্টের সঙ্গে মেলাতে না পারায় ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নাঙ্গলকোটে একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে আন্তঃনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয়েছে সাতটি কোচ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে হাসানপুর স্টেশন অফিসে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় বিকল্প উপায়ে সিগন্যাল পয়েন্ট চালু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লুপ লাইনে ঢুকে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলে কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। লাইনের কিছু অংশও ভেঙে গেছে। চারটি কোচ 20 ফুট দূরে পাশের খাদে পড়ে যায়। মালবাহী ট্রেনের ভেতর থেকে মালামাল ছিটকে পড়ে।
সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন চলাচল করছে। উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার আবিদুর রহমান।
রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সময় লাগবে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসন দুটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই দূর্ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কারো নিথর হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ট্রেনটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগামী কাল থেকেই এই ট্রেনটি আবারো চলাচলের জন্য প্রস্তুত হবে বলেও জানিয়েছেন কর্তপক্ষ।