দৈনিক খবর

তাকিওন ব্র্যান্ডের নতুন মডেলের সাশ্রয়ী মূল্যের ই-বাইক আনলো ওয়ালটন

নতুন মডেলের ইলেকট্রিক বাইক বাজারে ছাড়ালো শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব এই ই-বাইকের নাম তাকিওন লিও (ঞঅকণঙঘ খবড়)। সাশ্রয়ী মূল্যের তাকিওন লিও মডেলটি বাজারে এসেছে ৩টি ভার্সনে। মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘন্টা চার্জে এই বাইকে ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দেয়া যাবে। প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে মাত্র ১০ পয়সা।

সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে তাকিওন লিও মডেলের নতুন ই-বাইকের উদ্বোধন করেন আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইয়াসির আল ইমরান, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ওয়ালটনের তাকিওন বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বিআরটিএ অনুমোদিত ইলেকট্রিক বাইক। বর্তমানে ২ মডেলে ৪টি ভার্সনে ওয়ালটনের ই-বাইক পাওয়া যাচ্ছে। বাসার ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই ওয়ালটনের ই-বাইকে চার্জ দেয়া যাচ্ছে। শব্দ ও পরিবেশ দূষণমুক্ত এই বাইকে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম, চালানো সহজ ও নিরাপদ।
নতুন আসা তাকিওন লিও ১২ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে এন্ট্রি লেভেলের ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে। এক চার্জে এই বাইকটি ৪০ কিলোমিটার মাইলেজ দেবে। এর দাম ৪৯ হাজার ৮৫০ টাকা। তাকিওন লিও ২০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে মাইলেজ মিলবে ৭০ কিলোমিটার। বাইকটির দাম ৫৬ হাজার ৮৫০ টাকা। তাকিওন লিও এর সর্বোচ্চ ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে ২৩ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে। এতে ৮০ কিলোমিটার মাইলেজ মিলবে। এটির দাম ৫৯ হাজার ৮৫০ টাকা।

ওয়ালটন ডিজিটেক ওয়েবসাইট ( https://waltondigitech.com/products/e-bike) থেকে গ্রাহকরা বিনামূল্যে তাকিওন লিও (ঞঅকণঙঘ খবড়) মডেলটির ৩টি ভার্সনের প্রি-অর্ডার দিতে পারছেন।

অন্যদিকে, তাকিওন ১.০০ (ঞঅকণঙঘ ১.০০) মডেলের হাইয়েস্ট ভার্সনের ই-বাইকটি দেশের সকল ওয়ালটন শোরুমের পাশাপাশি অনলাইনের ওয়ালটন ডিজিটেক ওয়েবসাইট থেকে কেনা যাচ্ছে। লাল, নীল এবং ধূসর রঙের সাশ্রয়ী বাইকটির দাম ১২৭,৭৫০ টাকা।

তাকিওন লিও মডেলের উদ্বোধনের আগে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টাওে পৌঁছে আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালকসহ অন্য অতিথিরা ওয়ালটনের অত্যাধুনিক বিভিন্ন পণ্যে সাজানো ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। এরপর তারা বিশ্বমানের ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, ক¤েপ্রসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, পিসিবি-মাদারবোর্ড ইত্যাদি পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন।

তাকিওন লিও ই-বাইকের উদ্বোধনের পর মো. মোস্তফা কামাল বলেন, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন বাংলাদেশে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তাদের অত্যাধুনিক হেডকোয়ার্টারে বিশ্বমানের নানান পণ্যের সর্বাধুনিক প্রোডাকশন প্ল্যান্ট দেখে আমি অভিভূত। ই-বাইক বর্তমান সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। অত্যন্ত অল্প খরচে যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষায় ই-বাইক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে ওয়ালটনের এই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ওয়ালটনের জন্য শুভকামনা।

Related Articles

Back to top button