দৈনিক খবর

আমাকে জোর করে খাইয়ে দেয়, ঘুম থেকে উঠে বুঝি আমার সঙ্গে দৈহিক মিলন করা হয়েছে: অভিনেত্রী

হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম এক নাম প্যারিস হিল্টন। কিভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কোটি কোটি ভক্তে মনে জায়গা করে নিতে হয়, তা যেন তার থেকে ভালো কেউ জানে না! বলতে গেলে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

এদিকে সদ্য মা হয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী। তাই শুভেচ্ছা আর গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নানান আলোচনায় মুখর হচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়া। মডেল, ব্যবসায়ী, বিশ্বের প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় রয়েছে প্যারিসের নাম। সারোগেসিস’র মাধ্যমে প্রথম সন্তানকে পৃথিবীতে আনলেন এই মার্কিন পপতারকা ও তাঁর স্বামী কার্টার রেউম। দারুণ আনন্দের এই মুহূর্তে জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনার গল্প শোনালেন তিনি। আর তাই বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিশোরীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের শিকার হন প্যারিস!

সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে, তিনি বলেছিলেন যে ১৭ বছর বয়সে ‘মা’দ’ক সেবন করে তাকে ‘ধ’র্ষ’ণ’ করা হয়েছিল। এটি বোর্ডিং স্কুলে পড়ার সময় হয়েছিল। তবে শুধু এই ঘটনাই নয়, হিলটন যখন বিশ বছর বয়সে গর্ভপাত করতে বাধ্য হন।

নিজের জীবনের এই ভয়ঙ্কর ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এই তারকা বলেন, ‘এক বন্ধুর সঙ্গে শপিং মলে ঘুরতে ঘুরতে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় তাঁর। লোকটি তাকে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়। বাসায় যাওয়ার পর দেখলাম মদ্যপান চলছে। না করার পরও আমাকে জোর করে মদ খাইয়ে দেওয়া হল। পরে বুঝতে পারি পানী’য়’তে মা’দ’ক জাতীয় কিছু মেশানো হয়েছে। কয়েক ঘন্টা পরে, যখন আমি জেগে উঠি, আমি বুঝতে পারি যে আমাকে ‘ধ”র্ষ’ণ’ করা হয়েছে।

প্যারিস ২০২১ সালে কার্টারকে বিয়ে করেন। কার্টার আমেরিকার একজন বিখ্যাত লেখক, পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনিই প্যারিসের ৪০ তম জন্মদিনে তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর রাজি হন অভিনেত্রী। ২০২১ সালের নভেম্বরে তাদের তিন দিনের বিলাসবহুল বিয়ে হয়েছিল। প্যারিস-কার্টারের প্রথম সন্তান মঙ্গলবার জন্মগ্রহণ করেছিল। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে প্যারিস লিখেছেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল মা হওয়ার। আমি যখন কার্টারের সাথে দেখা করেন তখন আমার জীবন বদলে যায়। আমরা একে অপরকে খুঁজে পেয়েছি। আমাদের পরিবার এখন আরও সুন্দর। আসুন একসাথে নতুন পথে হাঁটি।

এদিকে গুণী ও সাহসী এই অভিনেত্রীর মা হওয়ার খবরে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্খী।

Related Articles

Back to top button