দৈনিক খবর

যে জাতের মুরগি বেশি ডিম দেয়

বর্তমানে মুরগী পালন করে ডিম, পালক উৎপাদন করে ভালো আয় করতে পারছেন। অল্প পুঁজিতে উন্নত জাতের মুরগী পালনে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। মুরগী পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মুরগী পালন।

মুরগিকে ডিম পাড়াতে চাইলে ভালো ভাবে দেখতে হবে যে কোন জাতের মুরগি বেশি ডিম দেয়, যদি মুরগিতে আসা জনযন ডিম না দেই তাহলে আপনার ব্যবসায় ক্ষতি হবে । তাই চলুন জেনে আসি কোন মুরগি বেশি ডিম দেয় ,কোন মুরগি বেশি ডিম পাড়ে ,কোন জাতের মুরগি বেশি ডিম দেয় ,কোন জাতের মুরগি বেশি ডিম পাড়ে ,কোন মুরগি বেশি ডিম পারে ,বেশি ডিম দেওয়া মুরগির জাত ,ডিমের জন্য কোন মুরগি ভাল ,কোন মুরগি সব থেকে বেশি ডিম দেয় ,কোন মুরগি সবচেয়ে বেশি ডিম দেয় ,বেশি ডিম পাড়া মুরগির জাত ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিতে হবে। যদি আপনি সকল বিষয়ে অজ্ঞনা হন তাহলে ব্যবসায় লছ হবে।

মুরগির মাথার অংশ: বেশি ডিম দেবে এমন মুরগির মাথা ছোট, হালকা এবং মাংসল অংশ কম হবে। মাথার ক্রেস্ট এবং ঘাড়ের ফুল উজ্জ্বল লাল বা গোলাপী হবে। তবে এগুলি নরম, সুগঠিত এবং সমৃদ্ধ হবে।

মুরগির চোখ, নাক এবং মুখ: পাখির চোখের রঙ উজ্জ্বল হবে। চোখ সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। নাক এবং মুখ শ্লেষামুক্ত থাকবে। গলাতে কোন নাক বা কুঁচকানো থাকবে না।

মুরগির দেহ: মুরগির দেহ সুগঠিত হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং জল পান করুন, এজন্যই খাবার ব্যাগটি পরিপূর্ণ হবে। যদি আপনি পেটে ডিম অনুভব করেন তবে এটি অবশ্যই ওজনে ভারী হতে হবে। এই জাতীয় মুরগির পিছনে দীর্ঘ এবং প্রশস্ত হয়। শরীরের কোনও অংশে কোনও ত্রুটি, অপূর্ণতা বা ত্রুটি থাকবে না।

মুরগির পালক: স্বাস্থ্যকর অবস্থায় মুরগির পালকগুলি উজ্জ্বল এবং সুসজ্জিত। এই জাতীয় মুরগি সাধারণত মার্চের দিকে তাদের পালক পরিবর্তন করে। তবে মাথার উপরের পালকগুলি খালি হয়ে যায় এবং টাক পড়ে।

মুরগির বয়স: মুরগির বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডিম উৎপাদনের হার তুলনামূলকভাবে হ্রাস পায়। তারা ৫৬০ দিন বয়সে পৌঁছানোর সময় পর্যন্ত মুরগি মোট ডিমের প্রায় 80% ডিম দেয়। তাই পুরাতন মুরগি খাবারের জন্য বিক্রি করতে হবে এবং খামারে নতুন মুরগি উত্থাপন করতে হবে।

মুরগির সাবধানতা: স্বাস্থ্যকর মুরগি সবসময় চটচটে থাকে এবং খাবারের সন্ধানে ব্যস্ত বলে মনে হয়। যদি হঠাৎ শব্দ হয় বা শত্রুর উপস্থিতি বুঝতে পারে তবে তিনি মুখে এক সদয় কথা বলিয়া স্বজনদের সতর্ক করেন। কেউ তাকে ধরলে সে পালিয়ে যায়।

মুরগির পা: স্বাস্থ্যকর মুরগির পা সুন্দর এবং সুগঠিত হবে। মুরগি পা দিয়ে সাধারণত হাঁটবে।

মলদ্বার এবং নিতম্বের হাড়: মুরগি রাখার মলদ্বার প্রশস্ত এবং ডিম্বাকৃতি হবে। যদি এটি পরীক্ষা করা হয় তবে এটি ভিজা এবং লালচে দেখাবে। মলদ্বারের দু’দিকে হাত রাখলে আপনি নিতম্বের হাড় অনুভব করতে পারেন। উত্পাদনশীল মুরগির দুটি হাড়ের মধ্যে দূরত্ব হবে দুই ইঞ্চি।

মুরগির তলপেট: ডিম রাখার ক্ষমতা দিয়ে মুরগির তলপেটটি হাত দিয়ে বোঝা যায়। ডিম দেওয়ার সময় তলপেটটি প্রশস্ত এবং নরম থাকে। মুরগি বিছানোর সময়, বুকের হাড়ের নীচের অংশ এবং উভয় হিপ হাড়ের মাথার মধ্যে দূরত্ব দুই ইঞ্চি হবে। মুরগির তলপেটে কোনও ফ্যাট থাকবে না এবং যদি চাপ প্রয়োগ করা হয় তবে ডিম পেটের ভিতরে অনুভব করবে।

মুরগির ত্বক: উত্পাদনশীল মুরগির ত্বকের নিচে কোনও ফ্যাট জমে না। ত্বক হবে পাতলা এবং নরম।

মুরগির ভঙ্গি: স্বাস্থ্যকর মুরগির স্থায়ী ভঙ্গিমা স্বাভাবিক।

রঙ: ডিম পাড়ার সাথে সাথে মলদ্বার, ঠোঁট, ক্রেস্ট, গলা এবং পায়ে রঙ বদলা শুরু হয়। রঙ পরিবর্তন শেষ হয়ে গেলে, এটি বুঝতে হবে যে বিছানার সময় শেষ।

মুরগির ব্যবহার এবং আচরণ: বেশি ডিম দেবে এমন মুরগির আচরণ যত্নশীল, নম্র এবং চটচটে হবে। ডিম দেওয়ার সময় ঘরে প্রবেশ করবে, কোনও সময় অলস হবে না। পাড়ার মুরগির পিছনে হাত রাখলে তা সহজেই বসে যাবে।

শেষ পর্যন্ত, স্বাস্থ্যকর এবং উত্পাদনশীল মুরগি সনাক্ত এবং লালন করা উচিত। একদিকে যেমন রো/গের সম্ভাবনা কম থাকবে তেমনি খামারও লাভজনক হবে।

Related Articles

Back to top button