গরুর মাংসের কেজি ৫৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৯০, তবে কি এক ধাক্কায় কমে গেল মাংসের দাম
বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে আগুন ,প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে হু হু করে এবং সেই সাথে দেখা গিয়েছে অস্বাভাবিক এই মূল্য বৃদ্ধির কারনে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে এই চড়া দামের মাঝেও সিরাজগঞ্জে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, যা বাজারদরের চেয়ে ২০০ টাকা কম। প্রতি শুক্রবার রমজান উপলক্ষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হাজী আব্দুস সাত্তার যমুনা নদীর ঘাট সংলগ্ন শহীদ শেখ রাসেল পার্কের সামনে এই মাংস বিক্রি করেন।
নিজে মাংস ব্যবসায়ী না হলেও পবিত্র রমজানে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়ায় প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। গরুর মাংস ছাড়াও আব্দুস সাত্তার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেন ১৯০ টাকা, সোনালি ২৯০ টাকা, ডিম ৩৫ টাকা এবং দুধ ৬০ টাকা কেজি দরে।
জসিম উদ্দিন, রহমত আলী, বরকত উল্লাহসহ অনেকে বলেন, আমরা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ। বাজারে গরু, মুরগি ও দুধের দাম বাড়ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে হাজী আব্দুস সাত্তার এই পণ্যগুলো কম দামে বিক্রির উদ্যোগে আমরা লাভবান হচ্ছি।
পেশায় যমুনা নদীর বালু ব্যবসায়ী হাজী আব্দুস সাত্তার সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একই ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর। স্বল্পমূল্যে মাংস বিক্রি ছাড়াও তিনি রমজানের শুরুতে নগরীর ধানবান্ধি, হোসেনপুর, গয়লা-আমলাপাড়া এলাকায় চার শতাধিক অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে সাহরি ও ইফতারের খাবার (খাবার প্যাকেজ) বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে হাজী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘প্রতি শুক্রবার চার-পাঁচটি গরু জবাই করা হয়। আমরা আমাদের খামারের গরুর দুধ ও মুরগি চাহিদা অনুযায়ী কম দামে বিক্রি করি। রমজান জুড়ে প্রতি শুক্রবার এ কার্যক্রম চলবে। পবিত্র রমজানে এমন উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি নিজেও খুশি বলে জানান এই সমাজসেবক।
সমাজের উঁচু শ্রেণীর অনেক মানুষ এগিয়ে এসেছে বর্তমান এই দ্রব্যমূলের উর্ধগতির কারনে বিপর্যস্থ হওয়া গরিব মানুষদের পাশে এবং তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সেই সাথে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন উপকারে আসছেন তারা।