দৈনিক খবর

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার

এবার নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এক নারী (৪০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন মিলন (৫০) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বারাহী দিঘী এলাকার বাসিন্দা এবং ওই নারীরই সাবেক স্বামী। গতকাল বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার খলিফার হাট সংলগ্ন একটি গ্যারেজে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কয়েক বছর আগে ভিকটিম সৌদি আরব থাকাকালীন সেখানে তিনি মিলনকে বিয়ে করেন। এরপর বিভিন্ন সময় তার স্বামীর কাছে তিনি ১০ লাখ টাকা দেন। এক সময় সৌদি আরবে থাকাকালীন তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বুধবার বিকেলে ওই নারী পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ঢাকা থেকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট এলাকায় আসেন। সেখানে সাবেক স্বামী মিলন কৌশলে তাকে
একটি গ্যারেজে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

পরে ভিকটিমকে স্থানীয় লোকজন গাড়িতে তুলে দেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যান। এক পর্যায়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি সোনাইমুডী থানা পুলিশকে অবহিত করেন। সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত জেনে ঘটনাস্থল সুধারাম মডেল থানা এলাকায় হওয়া নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।

এ বিষয়ে দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন বলেন, সাবেক স্বামীর সাথে এক নারীর ঝগড়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা এ বিষয়ে আমি জানি না।

এদিকে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী নারী মৌখিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে, পাওনা টাকা চাইতে গেলে জোরপূর্বক শারীরিক মেলামেশা করেন সাবেক স্বামী। ভিকটিম নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Related Articles

Back to top button