Entertainmentদৈনিক খবর

খুবই অস্তিত্বহীন হয়ে যাই তখন, ভালো লাগার জন্য কাজটি করিনি, টাকার জন্য করেছি: বাঁধন

বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে উন্নতমন একজন হচ্ছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছোটপর্দার মাধ্যমে তার কাজের শুরু হলেও এখন নিয়মিত বড়পর্দায় কাজ করছেন তিনি এবং পাচ্ছেন ব্যাপক প্রশংসা। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে তবে তার কাজের প্রভাব পড়তে দেননি। অভিনয়ে একাগ্রতা, নিষ্ঠা, আত্মত্যাগ তাকে এনে দিয়েছে সাফল্যের সিঁড়িতে। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ তার ক্যারিয়ারে এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে।

‘রেহানা মরিয়ম নূর’ দিয়ে দেশের পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। আজ মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘গুটি’। শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত এই ৭ পর্বের সিরিয়ালটি আজ রাত থেকে চরকিতে দেখা যাবে।

গুটিতে মাদক চোরাকারবারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। যেখানে তার শরীরে মাদক চোরাচালানের কাজ করতে হয়। ‘গুটি’ মুক্তি উপলক্ষে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

17 বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার, এর মধ্যে অনেক বিরতি। তারপর আবার ফিরে আসুন, সাফল্য দেখুন। এই সাফল্যের কারণ কী? বাঁধনের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।

জবাবে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলছি, ব্যক্তিগত কারণে কিছুটা সময় কাটাচ্ছিলাম ডাইজেস্টারে। সেটা 2017 সালে। আমার ক্রনিক ডিপ্রেশন ছিল। এটা আমাকে আরো মারাত্মকভাবে আক্রমণ করে।

তারপর যখন আমি কাউন্সেলিং এর জন্য একজন থেরাপিস্টের কাছে গেলাম, তিনি আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করলেন: আপনি যা করেন তা কি আপনি পছন্দ করেন? আমি তখন বললাম, আমার দরকার নেই। তিনি বললেন, তাহলে কেন? আমি বললাম, আমার টাকা দরকার, তাই করি। আসলে, আমি মজা করার জন্য এটি করিনি, আমি এটি অর্থের জন্য করেছি।

তখন তিনি পরামর্শ দেন যে যাই করুন ভালোর জন্যই করুন। এরপর পূবাইল-উত্তরায় ২৫-৩০ দিন নিয়মিত নাটক, ধারাবাহিক করতে লাগলাম। আমি আমার কমফোর্ট জোন থেকে জিনিসগুলি করতে শুরু করেছি। যারা রাত ৮টার মধ্যে চলে যাবেন তাদের কাজ করতে শুরু করলাম এবং সঠিক কাজ দেব।

বাঁধন বলেন, ওই সময় আমরা অনেক কিছুর মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি তখন অনেকটাই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু সেই অবস্থায় আমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার চেষ্টা শুরু করি। এরপর শিশুটিকে অভিভাবকত্বের জন্য আদালতে নিয়ে যাই।

তার পর বলতে লাগলাম। এটা খুবই মজার যে আমি রেহানা মরিয়ম নূর, অক্টোপাস বা মুসকান বা অন্যান্য চরিত্রে যাইনি। কিন্তু তারাই আমার কাছে এসেছে।

তিনি বলেন, এটা একটা অস্বাভাবিক ঘটনা যে সাদের দল আমার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু আমি তখন নিজেকে ব্যাখ্যা করলাম, এটাই আমার শেষ বিকল্প। এটা আমাকে শতভাগ নিষ্ঠার সাথে করতে হবে। এরপর একের পর এক কাজ করেছি, এখনো করছি।

সেই বন্ধন কি আদৌ পরিবর্তিত হয়েছে? এ অভিনেত্রী বলেন, কিছুই বদলায়নি। আমি যেমন ছিলাম তেমনই আবদ্ধ। যেকোন কাজের গল্প ও চরিত্র আমাকে সত্যিই পছন্দ করতে হয়। আর আমার পরিচালক আমাকে বিশ্বাস করতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিনোদন জগতের অভিনেত্রীদের ব্যাক্তিগত জীবনে নানা প্রতিকূল অবস্থা আসে এবং এসব মোকাবেলা করেই চলতে হয় তাদের ঠিক তেমনি অভিনেত্রী আজমেরী হক বিধানের জীবনেও এমনটি ঘটেছে এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ঐর তিনি তার মেয়েকে নিয়ে জীবনযাপন করেছেন।

Related Articles

Back to top button