দৈনিক খবর

‘আমি অন্যের রান্নাঘরেও করেছি’, নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ঋতাভরী

টলিউডের নামকরা এবং পুরুষের রাতের ঘুম নষ্ট করে দেওয়া অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। তিনি তার জীবন চলার পথ পরিচালনা করতে সবসময় সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেটা করার জন্য তিনি কোনোরূপ দ্বিধা করেননি। তিনি এমন একজন নারী যিনি তার সকল কথা সরাসরি বলতে পছন্দ করেন। গোপন কাজ ও পুরুষের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে দ্বিধা করেন না তিনি।

আসলে, প্রতিবেশী দেশ ভারতে পুরুষের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও প্রচুর ছুঁৎমার্গ রয়েছে। বলিউড তারকারা মাঝেমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। তবে টালিগঞ্জের তারকারা এ নিয়ে খুব কম কথা বলেন। যদিও অতীতে এক সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী এ বিষয়ে অকপট উত্তর দিয়েছিলেন।

নুসরাত জাহান পরিচালিত একটি চ্যাট শোতে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন ঋতাভরী। সেখানে তাকে পুরুষের সাথে বিছানায় যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মতে শরীরের খিদেটাও মনের খিদে। কাউকে ভেতর থেকে এতটা চাইছি যে, নিজের সঙ্গে এক করে নিতেও কোনো দ্বিধা থাকছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল কমপ্যাটিবিলিটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’ ঋতাভরী চক্রবর্তীকে কোন পুরুষ বেশি আকর্ষণ করে? তার উত্তর ছিল বুদ্ধিদীপ্ত। আমি বুদ্ধিদীপ্ত পুরুষের সাথে বুদ্ধিদীপ্ত ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করি … প্লাস চশমা পরা পুরুষেরা আমাকে খুব টানে। ইটস বিজার!’

ওই সাক্ষাৎকারে পুরুষের সাথে বিছানায় ঘনিষ্ঠ হওয়া নিয়ে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছিলেন ঋতাভরী। তিনি বলেছিলেন যে তিনি একবার প্রথম ডেটিংয়ে অপরিচিত ব্যক্তিকে চু”/ম্বন করেছিলেন। ক্যাজুয়ালি হুক আপ করার কথাও বললেন অভিনেত্রী। তার কথায়, তার কথায়, ‘বহুবার এমন করিনি। তবে যতটুকু হয়েছে, সেটা না হলে আমি খুশি হতাম।’

অভিনেত্রী তার সবচেয়ে দুঃসাহসিক ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঋতাভরী জানান, তিনি অন্যের রান্নাঘরে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। যা শুনে কিছুটা চমকে উঠে নুসরতের প্রশ্ন, ‘কিছু ভেঙে যায়নি?’ তবে এর বেশি কিছু বলেননি ঋতাভরী।

অন্যদিকে লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপে থাকাটা খুবই কঠিন বলে জানিয়েছেন ঋতাভরী। তার কথায়, আমি বেশিরভাগই লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপে ছিলাম। প্রথমত, সঙ্গী অনেক দূরে। কথায় কথায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়।

অভিনেত্রী যোগ করে বলেন, ‘তবে এই ধরনের সম্পর্কের একটা ভালো দিক আছে। অপেক্ষার প্রহর বাড়ছে দিন দিন। অবশেষে যখন দেখা হয় তখন সবটাই মারাত্মক।। প্রতিটি স্পর্শই যেন নতু এবং নতুন। প্রতিটি মুহূর্তই বিশেষ।’

তিনি এর আগে তার শরীরের বিষয়টি নিয়ে বলেছিলেন, আমি অনুভব করেছি যদি আমি স্কিনি এবং ফিট হয়ে যাই, আমি সেরা ভূমিকা পাব এবং বিকিনি বডি আমার সবসময় টার্গেট থাকে। প্রথমে আমি ৬০০-ক্যালোরি ডায়েট করে সাইজ জিরো করতে সক্ষম হই। আমি জানি না কিভাবে আমি বেঁচে আছি। আমি হয়তো না ফেরার দেশে চলে যেতে পারতাম। আমি কাজ করতে পছন্দ করতাম, কিন্তু পাতলা হওয়ার জন্য আমি এটিকে আপন করে নিয়েছিলাম। আমি দীপিকা পাড়ুকোনের মতো নিজেকে পেতে চেয়েছিলাম। তবে আর দরকার নেই, আমি আমার জীবনে আর কখনো ফিগার জিরো করতে চাই না।

Related Articles

Back to top button