দৈনিক খবর

১টি থেকে ১৩৫টি গরুর মালিক আমিরুল, বছরে আয় ৫০ লাখ!

শুরুর দিকে একটি মাত্র গাভী দিয়ে শুরু করলেও বর্তমান তার খামারে গরুর সংখ্যা ১৩৫টি। তার এমন সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার অনেক বেকার যুবক গরু পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। গরুর পালনের মাধ্যমে নিজের লালিত স্বপ্ন পুরুন করলেন ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম প্রমাণিক।

১৯৯৪ সালে ১৪ হাজার ৬০০ টাকায় একটি শংকর জাতের গাভী কিনে লালন পালন শুরু করেন। সেই যে শুরু তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সময়ের পরিক্রমায় আজ তিনি একজন সফল খামারি। স্থানীয় বাজারে যা বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা আয় করার পাশাপাশি বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় করছেন। বর্তমানে তার খামারে ৭০ টি গাভী রয়েছে। যা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ লিটার দুধ পাচ্ছেন।

আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা মারা জবার পর সংসারের সব দায়িত্ব এসে পরে আমার উপরে। আমার স্বপ্ন পূরণ করতে সবজি বিক্রি করে টাকা জমাতাম। একটি ষাঁড় বাচ্চা বিক্রি করে গরুর ঘর তৈরি করি আর দুইটি বকনা বাচ্ছা থেকেই আমার সফলতার শুরু। আমার মায়ের জমানো টাকা এবং আমার সবজি বিক্রির জমানো টাকা দিয়ে একটি শংকর জাতের গাভী কিনি। প্রথমে একটি গাভী থেকে ৩টা বাচ্চা হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমার খামারে মোট ১৩৭টি গরু আছে এর মধ্য ৭০টি গাভী থেকে প্রতিদিন ৫০০ লিটার দুধ হয়। বর্তমান প্রতি বছর খামার থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় হয়।

উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ জানান, লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে এখন যে পরিমাণ দুধ উৎপাদন হয়, সে পরিমাণ দুধ বিক্রির জায়গা নেই। তাই এই অঞ্চলে একটি দুগ্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায় এর পরিকল্পনা করছি, তাহলে লক্ষ্মীকুন্ডা দুধ উৎপাদনে একটি মডেল ইউনিয়ন রূপান্তরিত হবে।

Related Articles

Back to top button