opinionদৈনিক খবর

একাত্তর টিভি ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্রের সাথে পর্নোগ্রাফির মামলায় নাফিজের গ্রেফতারের বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেছে :সঞ্জু

সম্প্রতি ডয়চে ভেলের একটি বিশেষ তথ্যচিত্রে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর নাফিজ আলম নামের এক ব্যাক্তিকে তার পুরোনো একটি মামলার জেরে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ যা নিয়ে সারা দেশব্যাপী চলছে নানান আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেঃকঃ আব্দুল হাই সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-

জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের একটি বিশেষ তথ্যচিত্রে সাক্ষাৎকার দেওয়া নাফিজ মোহাম্মদ আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পর্নোগ্রাফির একটি মামলায় নাফিজ মোহাম্মদ আলমকে তাঁর বসুন্ধরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অর্থাৎ ডয়চে ভেলেতে সাক্ষাতকার দেয়ার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি; ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।

কিন্তু সরকার পক্ষের লোকেরা এখন প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন নাফিজ মোহাম্মদ আলম একটা খারাপ লোক। সুতরাং ডয়চে ভেলের সাক্ষাৎকারে দেয়া বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আর সরকারবিরোধীরা বলছেন, ডয়চে ভেলেতে সত্য বলার কারণে তাঁকে হয়রানিমুলকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে; এখন তাঁর ওপর নানা রকম নির্যাতন করা হবে।

দুই পক্ষের কারো বক্তব্যই সত্য না-ও হতে পারে; আবার আংশিক সত্য হতে পারে। কিন্তু পুরোপুরি সত্য হিসাবে কোনো পক্ষের বক্তব্যকে ধরে নেয়া যাবেনা।
পর্নোগ্রাফির মামলা চলুক। তাতে সমস্যা নাই।

নাফিজ মোহাম্মদ আলম খারাপ মানুষ হলেই যে তিনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্য বলেন না কিংবা বলবেন না, তার কোনো ভিত্তি নাই। তিনি খারাপ লোক হয়েও ডয়চে ভেলেতে যা বলেছেন, তা সত্য হতে পারে। এবং র‍্যাব ও আয়নাঘর সম্পর্কে মানুষের যে পারসেপশন আছে, তার সাথে নাফিজ মোহাম্মদ আলমের বক্তব্য মিলে যায়।
একাত্তর টিভি ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্রের সাথে পর্নোগ্রাফির মামলায় নাফিজ মোহাম্মদ আলমের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেছে। তাদের রিপোর্টে সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান এসে পর্নোগ্রাফির মামলা নিয়ে কিছু না বলে ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্রে কী নেই, সে সম্পর্কে বক্তৃতা দিলেন।

একটি তথ্যচিত্রে কিংবা একটি প্রতিবেদনে কী আছে, সেটি নিয়ে আলোচনা করাই প্রাসঙ্গিক, যুক্তিসঙ্গত এবং স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস। কী নেই – এই হিসাব করলে মহাসমুদ্র পরিমাণ বিষয় হাজীর করা যাবে। নাইয়ের কোনো সীমা নাই। এ কারণে কী নেই, তা নিয়ে আলোচনা করা প্রায় অসম্ভব একটি বিষয়। আর এ কারণে যা আছে, অর্থাৎ কন্টেন্টে কী আছে, তা নিয়ে আলোচনা করাই সেন্সিবল কাজ।

একটি তথ্যচিত্র কিংবা একটি প্রতিবেদনকে নিরপরেক্ষ এবং ভারসাম্যপূর্ণ রেখে তাতে কী অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং কী করবেন না, এই সিদ্ধান্ত প্রতিবেদক এবং সম্পাদকের।
সুতরাং ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্রে কী নেই সেই আলোচনায় না গিয়ে চলুন আমরা কী আছে এবং কী মিথ্যা আছে, তা নিরূপণ করার চেষ্টা করি।

Related Articles

Back to top button