Countrywideদৈনিক খবর

বাজার মনিটরিং করার দায়িত্ব নিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস (ভিডিও)

আমরা এই যুগে এসে বাইরের বানানো খাবার খুব বেশি পরিমানে খেয়ে থাকি। কিন্তু এই সকল খাবার যে পরিবেশে বানানো হচ্ছে সেটা কী কখনও দেখেছেন। কোন ধরনের খাদ্য সামগ্র্রী দিয়ে এই সব খাবার তৈরী করা হচ্ছে। এবার এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য বাজার মনিটরিং টিমের সাথে যুক্ত হয়েছেন অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ।

বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং টিমে উপস্থিত রয়েছেন অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। টিমের সাথে সরেজমিনে বাজার পরিদর্শন করেন অভিনেতা।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) চকবাজার এলাকায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং টিমে যোগ দেন ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা বাসায় নিয়মিত খেতে পারি না, তারা নির্ভর করি আপনাদের হাতে বানানো খাদ্যের উপর।

আপনারা কী আমাদের সেই ভরসার জায়গা হতে পারছেন?’
খাদ্য ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে অভিনেতা বলেন, ‘আপনারা আমাদের সবচেয়ে বড় ভরসা, তাই আপনাদেরকেই নিরাপত্তার জায়গাটা বজায় রাখতে হবে। অন্যথায়, আমরা আস্থা রাখতে পারবো না, তাহলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নেবে, করে আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমি এখানে আপনাদেরকে সতর্ক করতে এসেছি যাতে ক্ষতির শিকার না হন।’

এদিকে টিমের সঙ্গে খাবারের দোকান ঘুরে দেখেন অভিনেতা। ইফতার বাজার পরিদর্শনের সময় তিনি কেরোসিন ব্যবহার না করার জন্য বিক্রেতাদের অনুরোধ করেন এবং এর বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন।

বিকাল সাড়ে তিনটায় শাহী মসজিদ এলাকা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। চলে ইফতার পর্যন্ত। তিনি দোকানদারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এমন কোনো রং ব্যবহার করবেন না, যা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। ‘ খাদ্য সম্পর্কিত যে কোনো জিজ্ঞাসা বা খাদ্যে ভেজাল সম্পর্কিত কোনও অভিযোগ থাকলে ১৬১৫৫ নাম্বারে কল করার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রচারণা সম্পর্কে বিএফএসএ সদস্য মি. রেজাউল করিম বলেন, নিরাপদ খাদ্যের ধারণা বাংলাদেশে নতুন, তাই এই পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা এবং ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছা। তাই আমাদের এসব কার্যক্রম।

প্রসংগত, ভোক্তাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। অনিরাপদ খাবার খাদ্যজনিত অসুস্থতার কারণ হতে পারে, যা হালকা লক্ষণ যেমন বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া থেকে শুরু করে আরও গুরুতর অবস্থা যেমন কিডনি ফেইলিওর এমনকি প্রা/নঘা”তি পর্যন্ত হতে পারে। মানব স্বাস্থ্যের সম্ভাব্য ক্ষতির পাশাপাশি, খাদ্য দূষণের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি, সুনামগত ক্ষতি এবং খাদ্য উৎপাদনকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের আইনি দায়ও হতে পারে। খাদ্য সরবরাহে ভোক্তাদের আস্থা বজায় রাখতে এবং খাদ্য-সম্পর্কিত রোগের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Related Articles

Back to top button