৩ টি কারণে বঙ্গবাজারের আগুনে নেভাতে দেরি: ফায়ার সার্ভিস
শেষ পর্যন্ত শান্ত হয়েছে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারের আগুন। আর দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘন্টার প্রচেষ্টার ফলে নেভানো গেছে এই আগুন। তবে এই আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসে এর কর্মীরা।
পানির অভাবে, বাতাস আর উৎসুক জনতার কারণে বঙ্গবাজারে আগুন নেভাতে বিলম্ব হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রবেশ ফটকে এক ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবাজারে পানি, বাতাস ও উৎসুক জনতার অভাবে আগুন নেভাতে দেরি হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ২০১৯ সালের একটি সংবাদপত্রের একটি সংবাদের ক্লিপিং দেখিয়ে বলেন, “২০১৯ সালে ফায়ার সার্ভিস বঙ্গমার্কেটকে অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘোষণা করেছিল। এর পাশাপাশি, আমরা ব্যানার টেনে ১০ বার নোটিশ দিয়েছি। যে বিল্ডিংটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমাদের যা করার ছিল আমরা সবই করেছি।তবে এখানে ব্যবসা চলছে।
আপনারা ১০ বার নোটিশ দিয়েছেন কিন্তু ব্যবসা বন্ধ হয়নি কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। নাম উল্লেখ করা কোম্পানিকে জিজ্ঞাসা করুন।
মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা একটি ভিডিও দেখিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি সাংবাদিকদের বলেন, এখানে উৎসুক মানুষের ভিড় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এখানে এত ভিড় ছিল যে আমাদের সদস্যরা গিয়ে কাজ করতে পারে এমন কোন জায়গা ছিল না। দ্বিতীয় সমস্যাটি ছিল পানির অভাব এবং তৃতীয় সমস্যাটি ছিল বাতাস। বাতাসের কারণে এক জায়গা থেকে আগুন অন্য জায়গায় চলে যায়।
অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্য আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। সেই সাথে পুড়ে গেছে প্রায় ৫ হাজারেও বেশি দোকান।