‘ডা. জাফরুল্লাহর মৃত্যুর পর সেই মামুন: সেই শুধু নিজেই সমাজের জন্য সব কিছু করেননি
বিগত বেশকিছু দিন ধরেই কিডনি জটিলতায় ভুগে অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে ১১টার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছে ৮২ বছর। তার মৃত্যুর খবরে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দলের নেতকর্মীরা।
এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার দীর্ঘ সময়ের সহকর্মী ছিলেন অধ্যাপক ব্রি. জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মোস্তাফী। ডাঃ জাফরুল্লাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয় আমি ডাঃ জাফরুল্লাহর সাথে কাজ করতে পেরেছি, তার মতো মানুষ আমি আর দেখিনি।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে জাফরুল্লাহর মৃত্যুর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন ডা.
জাফরুল্লাহর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ মামুন মোস্তফী বলেন, ডাঃ জাফরুল্লাহর মত সৎ, খাঁটি মানুষ পৃথিবীতে খুব একটা আসে না। আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে ডাঃ জাফরুল্লাহর সাথে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, জাফরুল্লাহর অবদান শুধু চিকিৎসা সেবা নয়, সমাজ ও রাজনীতিতেও রয়েছে। আমার দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ও দূরদর্শী একজন মানুষ। তার চিন্তাধারা দেশের জন্য খুবই উপকারী ছিল। সমাজে এমন একজন ব্যক্তির থাকা সমাজের জন্য একটি সম্পদ। তিনি যা ভাল মনে করেছেন তাই করেছেন, এত সাহসী আর কখনও হতে পারে না।
মামুন মোস্তফী বলেন, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুধু নিজে সমাজের জন্য সবকিছু করেননি, আরও অনেক মানুষকে অবদান রাখার ব্যবস্থা করেছেন। যারা সমাজের মঙ্গল চান, তারা জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সমর্থন করেছেন বলেই এসব করতে পেরেছেন।
তিনি আরো বলেন, ডাঃ জাফরুল্লাহ আর আমাদের মাঝে নেই, এখন আমাদের দায়িত্ব তার কাজগুলোকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যাতে তার হাতের তৈরি জিনিস নষ্ট না হয়। এছাড়া আমরা সবাই মিলে তার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারি, এটাই আপাতত কামনা।
এদিকে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার সুস্থতার জন্য সবরকম চেষ্টা চালান চিকিৎসকরা। কিন্তু তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে।