ঢাকায় বেড়াতে আসা অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবার লিউক ডেম্যান্টকে বিরক্ত করার অভিযোগে আটক দোভাষী আব্দুল কালুকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া অনাদায়ে তাকে একদিনের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
সিএমএম আদালতের হাজত খানার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (৩ এপ্রিল) কালুকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করলে তাকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ডের বিনিময়ে মুক্তির আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত। গতকাল (রোববার) ডিএমপি অধ্যাদেশের ৭৭ ধারায় অপরাধ করায় তাকে একই অধ্যাদেশের ১০০ ধারায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হোটেল থেকে বের হয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ব্লগ করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ব্লগার লুক ডামান্তা। সেসময় সাবলীল ইংরেজিতে তাকে স্বাগত জানান কালু। সেসময় অনেকটা সাবলিল ইংরেজিতে লুক ডামান্তকে স্বাগত জানান তিনি। তারপর রাস্তার পাশের ডিম কেক খাওয়ার সময় লুক ডামান্তার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন কালু। পরে দুটি ডিম কেকে খাওয়ার পর লুক ওই দোকানিকে ৫০০ টাকার নোট দিয়ে পুরোটা রেখে দিতে বলেন। কিন্তু ডিম কেকের দোকানি ইংরেজি না বোঝায় কালু তাকে বলে ৫০০ টাকার মধ্যে ২৫০ টাকা রেখে বাকি ২৫০ টাকা আমাকে দিয়ে দিতে বলেছে বিদেশি নাগরিক। পরে ২৫০ টাকা নিয়ে নেন কালু।
তবে সেসময় শুধু টাকা নিয়েও ক্ষান্ত হয়ননি কালু। সে লুকের পেছন পেছনে চলতে থাকেন এবং তাকে উত্ত্যক্ত করে চলছিলেন। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উপায় না পেয়ে লুক ডামান্ত মোবাইলে কল করার অভিনয় করে তার কাছ থেকে রেহাই পান। শেষে তিনি ওই ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। পরে লুক ডামান্তার এ ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় নিন্দা জানাতে থাকেন অনেকে। পরে বিষয়টি ট্যুরিস্ট পুলিশের দৃষ্টিগোচর হলে কালুকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ওই ব্যক্তিকে ডিএমপি অধ্যাদেশের ৭৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধে জড়িত থাকায় ১০০ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ট্যুরিস্ট পুলিশ।
