সংবাদ সূত্র থেকে জানা যায়ম আর্থিক অনিয়মের দায়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়টি সম্প্রতি নানা ধরনের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নানা ধরনের বিতর্কের মুখে পড়েছে বাফুফে। এবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন ব্যারিস্টার সুমন
ব্যারিস্টার সুমন মনে করেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে বরখাস্ত করা বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য লজ্জাজনক। আবু নাঈম সোহাগের বরখাস্তকে মিথ্যা ও প্রতারণার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন ব্যারিস্টার সুমন। এ ঘটনার তদন্তে দুদককে ডাকা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বিএএফ সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের এমন নিষেধাজ্ঞার খবর শুনে আমি বিস্মিত। ৩ বছর ধরে আমি চিৎকার করছি, অবশেষে প্রমাণিত হয়েছে কেন আমি এটা করি। সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে BAUF ধ্বংস হয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞা তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। যার জন্য তিনি বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ব্যারিস্টার সুমন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আগামী মাসে দেশে ফেরার পর দুদকের সদস্য হবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের এই নিষেধাজ্ঞা বিবেচনায় নেওয়া উচিত। আর যদি তারা না নেয় তাহলে আমি আগামী ১ মে বাংলাদেশে ফিরে আসব। যদি দুদক আগে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ২রা মে বাফুফের এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাই। আর আমি মনে করি সোহাগ এই সব দুর্নীতির মূল। এটা তার কমিশন ট্রেডিং এর কারণে। বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলারদের এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আসলাম-রাজ্জাকসহ সাবেক ফুটবলারদের কথা বলা উচিত। কারণ তারা কথা বললেই চলে যাবেন কাজী সালাদীন। তিনি বাংলাদেশের ফুটবলের যে পরিমাণ ক্ষতি করেছেন তার শেষ নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এখন সবকিছু পরিষ্কার, যারা এ ধরনের দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি নিজে দেশে এসে দুদকের পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। মনে রাখবেন ফুটবল এভাবে ধ্বংস হবে না। ইতিহাসে তুমি ধ্বংস, বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাস তোমাকে কখনো ক্ষমা করবে না।
অর্থ জালিয়াতির বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে জানা যাবে সোহাগের দোষ ত্রুটি। তত দিনের জন্য সবাইকে ধয্য ধারন করতে পরামর্শ দিয়েছেন তদন্ত কমিটি।