রুমিন ফারহানার আগমনের খবর পেয়ে মিথ্যাচার করে দাবি করে গড়ি ঘেরাও করলো ছাত্রলীগ
সম্প্রতি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়ি ধাওয়া করে। যে ঘটনা না নিয়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি মো: শরীফ উদ্দিন রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
শনিবার বিকেলে সভা শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়া পাড়া এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার প্রাইভেটকারকে ধাওয়া দেয়।
এ সময় সরাইল ছাত্রলীগের সভাপতি মো: শরীফ উদ্দিন বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইল আশুগঞ্জের নন। তিনি এই এলাকার একজন বহিরাগত। প্রায়ই সরাইল এলাকায় এসে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতেন। এছাড়া সরাইল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে কটূক্তি করে। তার প্রতিবাদে আমরা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।
আগামী দিনেও একইভাবে মিথ্যা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মো. শরীফ উদ্দিন।
এ সময় সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানাউল্লাহ সেলু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পীসহ জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বর্তমান সরকার এদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব লুটের হিসাব হবে।
তিনি বলেন, আপনারা এদেশের মানুষের ওপর যে নির্যাতন করছেন। আওয়ামী লীগ আগামী একশ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
অপরদিকে রুমিন ফারহানার আগমনের খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরাইল উচালিয়া পাড়া মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে তার গাড়িটি উচালিয়া পাড়া মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাকে আটকে দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং গাড়িটিকে নিরাপদে স্থান ত্যাগের অনুমতি দেয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ডিউটি অফিসার এসআই আলম বলেন, বিষয়টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার নয়। উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে রুমিন ফারহানার গাড়ি যেতে দেয়।
রুমিনের গাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তাকে (রুমিন ফারহানা) রাস্তা করে দেয়। এরপর সে ও তার দলিয় লোকেরা ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনার বিষয়ে রুমিন ফারহানা সংবাদ মাধ্যমে কিছু বলেনি।