খেলাধুলাদৈনিক খবর

রনির ম্যাচ সেরা পুরস্কার গ্রহণ করলেন সাকিব

গত ২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক। সেই ম্যাচের পরই চলে যান দলের বাইরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করলেও জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে রনি তালুকদারকে। ক্যারিয়ারের ৫ম টি-টোয়েন্টিতে তার উইলো থেকে এসেছে প্রথম অর্ধশতক। সেই ঝড়ো ইনিংসে যেমন এসেছে দলের জয়, তেমনি এসেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

তবে খানিকটা আক্ষেপ হয়তো জাগাবে খবরটি, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর আট বছরের মাথায় প্রথমবারের মতো ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েও পুরস্কারটি নিজ হাতে গ্রহণ করতে পারেননি এই হার্ড হিটিং ওপেনার। ফিল্ডিংয়ের সময় হাতে ব্যথা পাওয়ায় তার পক্ষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

গত ২০১৪ ও ২০১৫ সালে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়েন রনি তালুকদার। কিন্তু টেস্ট কিংবা ওয়ানডেতে সুযোগ পাচ্ছিলেন না এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটিমাত্র টি-টোয়েন্টিতে তার গায়ে উঠেছিল জাতীয় দলের জার্সি। এক ম্যাচেই ক্যারিয়ার আটকে থাকবে কিনা, এমন সংশয় হয়তো ছিল এই মারকুটে ব্যাটারের মনেও।

তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে প্রাধান্য পেয়েছেন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের সাধারণত বেশ কয়েকবারই সুযোগ মেলে। তবে তেমনটি ঘটেনি রনি তালুকদারের ক্ষেত্রে। সবশেষ বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ৮ বছর পর জাতীয় দলে ডাক পান তিনি। চলতি মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে যথাক্রমে ২১, ৯ ও ২৪ রান করে আউট হন রনি।

ক্যারিয়ারের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসের সাথে ওপেন করতে নামেন রনি তালুকদার। আর, দলকে এনে দেন অবিশ্বাস্য সূচনা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৮১ রান তুলে রেকর্ডও গড়েন রনি ও লিটন। ৪৩ বলে ৯১ রানের জুটি ভাঙে ক্রেগ ইয়াংয়ের বলে স্টার্লিং এর হাতে ক্যাচ দিয়ে লিটন দাস ফিরলে।

লিটন অর্ধশতক না করতে পারলেও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন রনি তালুকদার। মাত্র ২৪ বলে অর্ধশতকের মাইলফলক স্পর্শ করেন রনি। দলীয় ১১৮ রানে নাজমুল শান্ত আউট হলেও ভাটা পড়েনি রানের খাতায়। ৩৮ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৬৭ রান করে হিউমের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রনি।

ফিল্ডিংয়ের সময় বাউন্ডারি লাইনে ডাইভ দিয়ে কাঁধে আঘাত পান রনি তালুকদার। তাই ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে পারেননি এই হার্ড হিটার। তবে জানা গেছে, তার এই আঘাত খুব বেশি গুরুতর নয়। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়া হয়তো হয়নি বেরসিক বৃষ্টির আগমনে। এটা যদি হয় এই জয়ের দিনে আক্ষেপের নাম, তবে তালিকায় দেখা যেতে পারে রনি তালুকদারকেও।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি করেই ম্যাচ জয়, সাথে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার উপলক্ষটিতে নিজে থাকতে পারেননি রনি। অবশ্য, যেভাবে ব্যাট করেছেন এই হার্ড হিটার তাতে আফসোসের সুযোগ খুব বেশিদিন হয়তো থাকবে না তার। কে জানে, ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়মিত জিতে চট্টগ্রামের ঘটনাকে আনন্দের এক গল্পে পরিণত করবেন না ৮ বছর পর জাতীয় দলে আসা রনি তালুকদার!

Related Articles

Back to top button