জেনে রাখুনভালোবাসা ও সম্পর্কযৌন স্বাস্থ্য

বিবাহিত জীবনে যৌনতা নিয়ে কিছু কথা

বিবাহিত জীবন বহুগুন সুখের হয় দম্পতিদের মধ্যে সুস্থ যৌন সম্পর্ক থাকলে আর সে কথা সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। বিবাহিত জীবন সুস্থ ও স্থায়ী রাখতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এতে লজ্জার কিছু নেই। অনেকেই এই ব্যাপারে খুব রক্ষণশীল থাকেন।

মনে করেন হয়তো এই বিষয়ে কাউকে বলা যাবেনা। বললে ব্যাপারটা খুব লজ্জাজনক। অনেকে মনে করেন যৌনজীবন নিয়ে চিন্তা করাটাই অপরাধের। যৌনজীবনে সমস্যা হতেই পারে। তাই বলে চুপটি মেরে বসে থাকা ঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি আলোচনা করা দরকার, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

১। একান্ত জীবনে কোনও সমস্যা থাকলে প্রত্যেক স্বামী-স্ত্রীর উচিত বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা। এখানে ভয় বা লজ্জার কোন স্থান নেই।

২। স্বামী-স্ত্রীর দৈহিক সম্পর্কের সমস্যা সন্তানহীনতার কারণ হতে পারে, এ কথা ভুলে গেলে চলবে না। এমন দেখা গিয়েছে, কখনো অত্যধিক পরিশ্রমের জন্য, কাজের চাপের ফলে স্বামী ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত- এর গুরুত্ব কিন্তু কম নয়। তার শারীরিক পরীক্ষারও প্রয়োজন।

ছোটবেলায় হার্নিয়া অপারেশন হলে পুরুষের পরবর্তীকালে যৌনজীবনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। শৈশবে মাম্পস হয়ে থাকলেও তার জটিলতা হিসেবে পুরুষের অণ্ডকোষ আক্রান্ত হতে পারে।

৩। স্বাভাবিক দৈহিক মিলন হলেও চাইবার সাথে সাথে সকলের গর্ভসঞ্চার হয়না। সন্তান চাইবার প্রায় মাস ছয়েকের মধ্যে ৪০ শতাংশ মেয়েদের সন্তান সম্ভবনা হয়, বেশি বয়সে অর্থাৎ ২৮-৩০ এর ওপরে বিয়ে হলে আরও বেশি দেরি হতে পারে।

৪। নবদম্পতিদের সপ্তাহে অন্তত ৪/৫ বার দৈহিক মিলন হওয়া স্বাভাবিক। সপ্তাহে একবার বা ১৫ দিনে একবার হলে ঋতুচক্রের ঠিক সময় শুক্রানু ডিম্বাণুকে উর্বর করতে পারেনা। স্বামী-স্ত্রীর মিলনকে কোন নিয়মের ছকে ফেলা শক্ত ব্যাপার।

৫। বছরখানেক স্বাভাবিক যৌনজীবন যাপন করে এবং সন্তান আকাঙ্ক্ষা করলেও যদি গর্ভাবস্থা না ঘটে, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে যৌন জীবনের স্বাভাবিকত্ব নির্ণয় করিয়ে নেওয়া খুব দরকার।

৬। আজকের যুগেও শতকরা ৫ জন দম্পতির মধ্যে শারীরিক মিলন সম্পর্কে অতি সাধারন জ্ঞানেরও অভাব পরিলক্ষিত হয়। অপরিণত মানসিক প্রতিক্রিয়ার দুজনেরই মিলন সম্পর্কে ভয়, আশঙ্কা ও অহেতুক লজ্জাবোধ থাকে। মানুষের দেহ তো আর নিছক যন্ত্র ও কলকব্জা নয়, মনের প্রভাবও দেহের উপর নানা ভাবে কাজ করে।

৭। বিয়ের পর মেয়েদের সম্পূর্ণ নতুন এক পরিবারে এসে থাকতে নিজের অভ্যাসগত, স্বভাবগত, আদর্শগত ও পরিবেশগত নানা পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে হয়। বহুমুখী এইসব পরিবর্তন যেমন অনেকে মানিয়ে নেয়, কেউ কেউ আবার পারেন না। নতুন যৌনজীবনে দেহ মনে নতুন অনুভূতির সূচনা ঘটে।

সেই সময়ে নতুন পরিবারের সহৃদয় ব্যবহারের অভাব ঘটলে, তবে সেই মানসিক সংঘাত ও অসঙ্গতি দেহের বিভিন্ন গ্রন্থির উপরে বিশেষ ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করে। এবং তার ফলে আপাতসুস্থ যৌন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।

Related Articles

Back to top button