opinionদৈনিক খবর

যার ইন্ধনে র‌্যাব এই কাজ করছে, সেই এনমুল এখন গা ঢাকা দিয়েছে, জেসমিন এবং তার বাড়ি একই দিকে : শামসুল

২৪ মার্চ নওগাঁয় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সুলতানা জেসমিন নামে এক ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক কর্মচারী মারা যান। হেফাজতে থাকে অবস্থায় তার মৃত্যুতে উঠেছে উদ্বেগ এবং নানা আলোচনা এবং সমালোচনা। এই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম নিচে সেটি তুলে ধরা হল-

নওগাঁর ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনকে হত্যা করেছে র‌্যাব। আর এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে মো. এনামুল হক মন্ডল নামে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালকের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। এনামুল, ২০তম বিসিএস প্রশাসনের একজন জয়েন্ট সেক্রেটারি। হাসপাতাল সুত্রে যে খবর, নিহতের মাথার ডান পাশে কানের উপরে আঘাতের চিহ্ন ছিল, অর্থাৎ তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
এই হত্যার পেছনে দাবী করা হয় ফেসবুকে ভুয়া একাউন্ট খুলে প্রতারণা ও মানহানি করার অভিযোগ। বাদী এনামুল কিন্তু পুলিশের কাছে যায়নি। জয়েন্ট সেক্রেটারী সাহেব ক্ষমতার গরমে সরাসরি র‌্যাবকে দিয়ে পিটিয়ে শায়েস্তা করার ব্যবস্থা করেছে।

কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হতেই পারে। অভিযোগ দিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো যেতে পারে। তাছাড়া নিহত সুলতানা তো লাওয়ারিশ কেউ নন- রীতিমত সরকারী কর্মচারী, তিনি জেলাপ্রশাসকের অধীনে কাজ করতেন। অভিযোগকারী এনামুল এপথে না গিয়ে র‌্যাব ব্যবহার করেছিল কেনো?

পিটিয়ে হত্যা করা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। এর বিচারে কঠোর শাস্তি হওয়ার দরকার। যার ইন্ধনে এই হত্যা হয়েছে, সেই এনমুল এখন গা ঢাকা দিয়েছে। তার বাড়ি কিন্তু রাজশাহী, নিহতের বাড়িও ঐদিকেই। কোনো ব্যক্তিগত ইস্যু নেই তো?

নিহত সুলতানা জেসমিন ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মচারি ছিল, যেখানে সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ। মোস্তাফিজ বদলী হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এখন তার উপর দায়িত্ব পড়বে হত্যার ঘটনার বিচারের ব্যবস্খা করার। তিনি যাতে কোনো অবস্থাতেই হত্যার সাথে জড়িত র‌্যাব ও একই সার্ভিসের জয়েন্ট সেক্রেটারি এনামূলের পক্ষে বিষয়টি ধামাচাপা না দেন। মনে রাখতে হবে, ভূমি অফিসগুলোতে হাজার হাজার কর্মচারী কর্মকর্তা আছে। তাছাড়া বিষয়টি একটি হত্যার মত সাংঘাতিক ঘটনা।

Related Articles

Back to top button