দৈনিক খবর

যারা কথা বলবে তাদের কাছে মেসির চেয়ে এমবাপ্পে ভালো, বলতেই নিস্তব্ধ ক্লাসরুম

স্কুলে বাচ্চাদের সামলানো সহজ নয়। বাচ্চাদের সামলাতে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেই শিক্ষককে ক্লাসরুম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তবে আর্জেন্টিনায় এক স্কুলের নারী শিক্ষক এমন এক পথ দেখিয়েছেন, যা অবাক করেছে সবাইকে। বাচ্চাদের কোলাহলের কারণে ক্লাস নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ঠিক তখনই শিক্ষিকা বলে উঠলেন, যারা কথা বলবে তাদের কাছে ‘মেসির চেয়ে এমবাপ্পে ভালো’; তাতেই সঙ্গে সঙ্গে নিস্তব্ধতা নেমে আসে ক্লাসরুমে। খবর ক্লারিনের।

এখন সারা বিশ্ব জানে, আর্জেন্টাইনরা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই ফুটবলপাগল। গত ডিসেম্বরে কাতারে ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর ব্যাপারটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লারিন জানিয়েছে, মেসিদের জাতীয় দলের জার্সি তো আছেই; পাশাপাশি খেলোয়াড়ের মুখের ছবি সংবলিত নোটবই, পেনসিল, ব্যাগ ব্যবহার করছে খুদে শিক্ষার্থীরা।

মেসি-ডি মারিয়াদের প্রতি বাচ্চাদের টান বোঝাতে সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, তারা ফুটবলারদের প্রতি ভালোবাসা না দেখিয়ে অপরাধবোধে ভুগতে চায় না। এমনই একটি ঘটনা জানিয়েছে ক্লারিন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। মার্গারিটা নামের এই আর্জেন্টাইন স্কুল শিক্ষক নিজের টিকটকে ভিডিওটি পোস্ট করেন এই ভিডিও। এরপর তা ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।

সেই শিক্ষক যে স্কুলে চাকরি করেন, সেখানে তার নিজের ক্লাসরুমে এ ঘটনা ঘটেছে। ক্লাসে ঢুকে বাচ্চাদের কোনোভাবেই সামাল দিতে পারছিলেন না। বাচ্চাদের কোলাহলের কারণে ক্লাস তার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এরপর সেই শিক্ষক তার ‘অস্ত্র’টি ছাড়েন। বাচ্চাদের বলেন, ‘যারা চুপ করবে না, তাদের কাছে মেসির চেয়ে এমবাপ্পে ভালো।’ সঙ্গে সঙ্গে নিস্তব্ধ নেমে আসে ক্লাসরুমে।

সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, বাচ্চাদের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চুপ করে যাওয়া দেখে শিক্ষক নিজেই অবাক হয়েছেন। পরে বলেছেন, বড়জোর ১০ সেকেন্ড সময় লেগেছে (চুপ করতে)। অসাধারণ লেগেছে। এটাই সর্বকালের সেরা ফুটবলারের ক্ষমতা। অনেকেই সেই শিক্ষককে অভিবাদন জানিয়েছেন। কেউ কেউ মজাও করেছেন। ভিডিওটির মন্তব্যে লিখেছেন, আমি এখনও চুপ করে আছি। কথা বলিনি।

Related Articles

Back to top button