আলোচিত সংবাদদৈনিক খবর

মোবাইল দেখে তারাবির ইমামতি, হাফেজ বহিষ্কার

বরিশালে একটি ম’সজিদে মোবাইল ফোন দেখে দেখে তারাবি নামাজ পড়ানোর ঘটনায় সেখানে মু’সল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে ম’সজিদ কর্তৃপক্ষ ওই ই’মামকে বাদ দিয়েছেন। পরে নতুন একজন ই’মাম দিয়ে নামাজ পড়ানো শুরু করেছেন। বরিশাল নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোড বায়তুল আনোয়ার জামে ম’সজিদে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২৭ মা’র্চ) বায়তুল আনোয়ার জামে ম’সজিদের ক্যাশিয়ার মিল্টন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একাধিক মু’সল্লি জানান, নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোড বায়তুল আনোয়ার জামে ম’সজিদের হাফেজ জাকির হোসেন মোবাইল ফোন দেখে দেখে তারাবি নামাজ পড়ান। এ বিষয়টি জানাজানি হলে, তারাবির ই’মামকে সাত দিনের ভেতর ম’সজিদ ত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেয় এলাকাবাসী।
বায়তুল আনোয়ার জামে ম’সজিদের এক মু’সুল্লি জানান, বিষয়টি দ্বিতীয় রমজানের রাতে তারাবি নামাজের সময় অনেকেরই চোখে পড়ে। পরে তৃতীয় রমজানের রাতে হাফেজ জাকির হোসেনের মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর দৃশ্য ম’সজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ভিডিও করে এলাকাবাসী। পরে ভিডিওটি সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়লে উত্তে’জনার সৃষ্টি হয়।

ম’সজিদের ই’মাম ফারুক জানান, হাফেজ জাকির হোসেনের মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর বিষয়টি সত্যি। তবে ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বায়তুল আনোয়ার জামে ম’সজিদের ক্যাশিয়ার মিল্টন চৌধুরী বলেন, ‘তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে ম’সজিদ কমিটির কেউ ছিল না। বায়তুল আনোয়ার জামে ম’সজিদের ই’মাম ও এলাকার অন্য একটি ম’সজিদের ই’মাম মিলে ইন্টারভিউ নিয়ে হাফেজ ঠিক করা হয়েছিল। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জেনে ওই হাফেজকে সঙ্গে সঙ্গে বাদ দিয়ে অন্য একজন হাফেজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

Related Articles

Back to top button