দৈনিক খবর

মত প্রকশে বাধা এবং জনপ্রিয় একটি পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া,বাংলাদেশকে নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নতুন বার্তা জাতিসংঘের

সম্প্রতি বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু সংবাদ পত্রিকা। আর এই সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া নিয়ে সারা দেশে হচ্ছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা।এ দিকে এই বিষয়টি পৌঁছে গেছে জাতিসংঘ পর্যন্ত। জানা গেছে দৈনিক দিনকালসহ বাংলাদেশে বেশ কিছু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করে দেয়ার বিষয়টি উদ্বেগের এবং তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।এ ছাড়াও গণমাধ্যম দলনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে জাতিসংঘ তাদের উদ্বেগ প্রকাশ অব্যাহত রাখবে বলেও জানানো হয়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মিডিয়া গ্যাংয়ের নেতৃত্বে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কর্তৃক প্রকাশিত সংবাদপত্র-দৈনিক দিনকাল বন্ধের বিষয়ে সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজেরিক জাতিসংঘের অবস্থান ব্যক্ত করেন।

ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি মুশফিকুল ফজল আনসারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং মহাসচিবের মুখপাত্র ডজেরিক বিষয়টিকে সাধুবাদ জানান। বাংলাদেশিদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে হাসিমুখে বলতে শোনা যায়- “সত্যিই তাই, সত্যিই তাই”। ব্রিফিং কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকরাও মুখপাত্রের করতালির এ বিষয়টি অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করেন।

কার্যত ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে এই প্রতিবেদক জানতে চান, “আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেটি ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার অধিকারের জন্য লড়াই করেছিল। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা সেই অধিকার পেতে পেরেছি। আজ, দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দিনটিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মাতৃভাষা দিবসের এই অর্জন সত্ত্বেও, আমাদের এখনও আমাদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে। ভাষা দিবসের ঠিক আগে। ,বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল কর্তৃক প্রকাশিত বাংলা ভাষার সংবাদপত্র দৈনিক দিনকাল সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পত্রিকাটিতে শত শত সাংবাদিক ও কর্মচারী কর্মরত ছিলেন।দৈনিক প্রকাশিত প্রতিবেদন সরকারের সমালোচনা, যা দেশের মূলধারার মিডিয়া করতে সাহস পায়নি।আর এই মিডিয়াগুলো সরকার ও তাদের ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।এ বিষয়ে জাতিসংঘের মতামত কি?

প্রসঙ্গত, এ দিকে এই বিষয়টি আরো বেশি গভীর ভাবে দেখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘের এই মুখপাত্র। প্রতিবেদকের এই সব প্রশ্নের জবাবে ডোজারিক বলেন, “বাংলাদেশে বেশ কিছু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার বিষয়টি আমরা উদ্বেগের সাথে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের উদ্বেগ স্পষ্ট করেছি।” এরপর তিনি আরো স্পষ্ট করতে গিয়ে বলেছেন ভবিষ্যতে এ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।

Related Articles

Back to top button