বর্তমানে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। ভারতের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতি পবিত্র রমজান মাসকে একটি আলাদা পরিচয় দেয়। প্রায় ২০০ মিলিয়ন মুসলমানের বসবাস দেশটিতে। রমজানে রাজধানী নয়াদিল্লির মুসলমানরা তাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতি অনুসারে পবিত্র মাসের আবির্ভাব উদযাপন করতে একত্রিত হয়ে রমজানকে একটি আলাদা পরিচয় দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ভারতে মুসলমানরা কীভাবে রমজান পালন করে, তার একটি চিত্র তুলে ধরছে ছবির মাধ্যমে। জুমার নামাজের আগে জামে মসজিদের মাঠে একটি পুকুরে লোকেরা নামাজের আগে অজু করছে।
নতুন দিল্লির একটি মাদ্রাসায় তরুণ ছাত্ররা কুরআন মুখস্ত করছে। যে সমস্ত ছাত্ররা পুরো কুরআন মুখস্ত করে তাদের দিল্লির বিভিন্ন মসজিদে নামাজের সময় কুরআন তেলাওয়াত করার জন্য পাঠানো হয়। একজন মুসলিম ব্যক্তি জামে মসজিদের গেটে একজন ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিচ্ছেন। এই মাসে মুসলমানরা দরিদ্রদের সাহায্য করাকে আরও সওয়াবের কাজ বলে মনে করে।
জামে মসজিদের বাইরের সুপরিচিত বাজারের একটি দৃশ্য। বাজারটি প্রচুর জনসমাগমকে আকর্ষণ করে, কারণ এটি পুরানো দিল্লির অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে এবং ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবার সরবরাহ করে। বিভিন্ন ধরণের খেজুর, সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আমদানি করা হয়। এই মাসে বাজারগুলো খেজুরে ভরে যায় কারণ মুসলমানরা খেজুর দিয়ে তাদের ইফতারি করতে পছন্দ করে।
জামে মসজিদ মার্কেটে একজন মুসলিম ব্যক্তি রমজানের জন্য তৈরি বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং মিষ্টি বিক্রি করছেন। উপবাস ভাঙতে মসজিদে আসা লোকদের পরিবেশন করার জন্য অল্প বয়স্ক ছেলেরা নয়াদিল্লির একটি মসজিদে ফল কাটছে।
একটি পরিবার খাবার তৈরি করছে এবং মাগরিবের আযানের জন্য অপেক্ষা করছে, যাতে তারা জামে মসজিদের কাছে তাদের ইফতার করতে পারে। তারা আল জাজিরাকে বলেছে, তারা প্রতি বছর রমজানের প্রথম দিনে সেখানে যা।
প্রতিদিন শত শত মানুষ তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে জামে মসজিদে তাদের ইফতারের জন্য জড়ো হয়। অল্পবয়সী ছেলেরা জামে মসজিদ বাজারে ভাজা চিকেন এবং কাবাব তৈরি করে, যা সুস্বাদু আমিষ মিশ্রিত মুঘলাই খাবারের জন্য পরিচিত। সুত্র; আল জাজিরা
