বাংলাদেশের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা দীর্ঘ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তার অতীতের একটি ঘটনার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি বহুবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা কথা বলেছেন তবুও এই ক্ষত কোন ভাবেই নির্মূল হচ্ছে না। সংবাদ এবং সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলার ঘোষণা দিয়েছিলেন কিছু দিন আগে তবে এর পেছনের কারণ তখন জানা যায়নি।
এবার নিজের আপত্তি সামনে আনলেন অভিনেত্রী। গত শনিবার অভিনেতা সমিতির ইফতার-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন প্রভা। সে সময় তার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার কথা বললেন।
প্রভা বলেন, “আমি যখন ছোট ছিলাম, আমি পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার ভয় পেতাম, কারণ আমার মা জানতে পারলে আমাকে তিরস্কার করবেন।” এখন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হলেও তা হজম করি। কারণ, সবচেয়ে বড় ভয় যদি সাংবাদিক জানতে পারেন, তাহলে কী হবে! আমার জীবনে যারাই এসেছে (প্রেমিক) চলে যাওয়ার সময় ব্লেম গেম খেলেছে।
এতে আমি মানসিকভাবে নির্যাতিত হলেও কাউকে মুখ খুলতে পারিনি। আপনি কি কখনও একজন সাংবাদিকের মতো অনুভব করেছেন? আমি যখন ডিভোর্স পেপার ফাইল করি, নিয়ম অনুযায়ী আমার কিছু পাওনা থাকে। কিন্তু খবরে এলে কথা বলতে ভয় পায়। সাংবাদিকরা আমাকে সমর্থন করলে আমি সবকিছু করতে পারতাম।
প্রভার কথায়, “কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বলেছিলাম, আমার সঙ্গে কথা না বলে নিউজ করবেন না। আমরা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও পালন করার চেষ্টা করি। রোজার সময় যেমন আমাদের মন নরম থাকে। সেই সময়ে সবার ক্ষমা চাওয়া উচিত যদি তারা কারো হৃদয়ে আঘাত করেছে।এখন আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং এটি সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছি।
এরপর কানে এলো খবর, ‘অবশেষে সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রভা’। আমি কেন ক্ষমা চাইব? আমি মনে করি এই সমাজের আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” অভিনেত্রী বলেন, ‘একদল লোক আছে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় যতবার পোস্ট করি ততবার আমাকে অনুসরণ করে।
একদিন হঠাৎ কেউ বলে উঠলো, মনোযোগ আকর্ষণের জন্য এসব করি। তারপর আমি আমার সমস্ত ছবি মুছে ফেললাম। আসলে এটা আমার উপর আল্লাহর রহমত যে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়িনি। আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া। এটাকে আমি আল্লাহর হেদায়েত বলতে পারি।
উল্লেখ্য, ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রভা তার ব্যাক্তিগত জীবনে একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন এবং এই ঘটনার পর তার ক্যারিয়ারে বেশ প্রভাব পড়েছে এবং এই কারনে দেখা যাচ্ছে এখনো তাকে নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
