দৈনিক খবরসারাদেশ

বিসিএস ক্যাডারকে কীভাবে ডাকতে হয় জানেন না: ভাই ডাকায় সরকারি কর্মকর্তা

এবার সিলেটের গোলাপগঞ্জে মৎস্য কর্মকর্তাকে ভাই ডাকায় মিজানুর রহমান নামে এক উপসহকারী মৎস্য কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় উপজেলা মৎস্য অফিসে গিয়েছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক ফাহিম আহমদ।

তিনি বলেন, ‘অফিসে মৎস্য কর্মকর্তাকে না দেখে উপসহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে বলি, “ভাই কোথায়?” এ কথা বলতেই তিনি রেগে গিয়ে বলেন, “ভাই কেন ডাকলেন? একজন বিসিএস ক্যাডারকে কীভাবে ডাকতে হয় আপনি জানেন না?’ কী বলে ডাকতে হবে, জানতে চাইলে উপসহকারী মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ‘ফিশারিজ অফিসার ডাকবেন।’এ ঘটনার পর সঙ্গে থাকা আরও দুজন সহকর্মী প্রতিবাদ জানান।

এ বিষয়ে উপসহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘কয়েকজন লোক অফিসে এসে জানতে চাচ্ছিলেন, “ভাই কোথায়”। আমি তাদের বলি, “ভাই কে?” তখন তারা মৎস্য কর্মকর্তার কক্ষ দেখালেন। আমি তাদের বলি, “মৎস্য কর্মকর্তা একজন বিসিএস কর্মকর্তা। একটু শালীনতার সঙ্গে বলুন।” আমি মৎস্য কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ ডাকার কথা বলিনি।

এদিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হাসিবুল হাসান বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি আজ উপস্থিত ছিলাম না, থাকলে এটি হতো না। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এটি ভুল করেছেন।’

জানা যায়, স্যার ঢাকার বিষয়ে গত শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবক। তাদের ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ ডাকার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ভদ্রতার খাতিরে অনেকে স্যার বা ম্যাডাম ডাকেন। কিন্তু এটি ডাকা বাধ্যতামূলক নয়। কেউ যদি আপা বা ভাই ডাকেন, তাতে দোষের কিছু নেই। এতে মাইন্ড করারও কিছু নেই। সরকারি চাকরিজীবীরা জনগণের সেবক, এই চিন্তা থেকেই কাজ করতে হবে।

Related Articles

Back to top button