Entertainmentদৈনিক খবর

বিনোদন জগতে শোকের ছায়া, মারা গেলেন বাংলার জনপ্রিয় সেই শিল্পী

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা শহীদুল হক খান মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি অনিন্না ইলাহি রাজিউন। তার প্রয়নে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার আন্মার শান্তি কামনা করে পোষ্ট করেছেন।

 বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ( মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন জীবন-মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। আর্থিক সংকটে চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ক্যান্সারে আক্রান্ত এই নির্মাতা।

শহীদুল হক খান ১৯৪৮ সালের ১১ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি একজন চলচ্চিত্র সাংবাদিক, কলামিস্ট, নাট্যকার, টিভি প্যাকেজ নাটক প্রযোজক এবং টিভি ম্যাগাজিন উপস্থাপক ছিলেন।

শহীদুল হক খানের ছেলে সাইফুল হক খান সৌরভ জানান, বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মরদেহ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাখা হবে। জানাজা শেষে বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

১৯৭৩সালে, তিনি সমরেশ বসুর উপন্যাস অবলম্বনে প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী ঝুমুর গাঙ্গুলীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ছুটির ফাঁদে’ নির্মাণ করেন। এই সিনেমায় নিজের লেখা গানের জন্য গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

১৯৯৪ সালে, তিনি লেখক ইমদাদুল হক মিলনের রচনা ও পরিচালনায় ‘কোথায় সেজন’ নিয়ে বিটিভিতে প্রথম প্যাকেজ নাটক নির্মাণ করেন।

তিনি অসংখ্য টিভি নাটক নির্মাণ করেছেন। তার হাত ধরেই ‘নায়ক’ নাটক দিয়ে প্রথম মিডিয়ায় আসেন অভিনেত্রী পপি। এ নাটকে কাঞ্চনের নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পপি ইলিয়াস।

শহীদুল হক খান বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার লেখা বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সিনিয়র সদস্য।

এতো বড় একজন সিনেমা নির্মাতা হয়েও শেষ বয়সে চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ক্যনসারের চিকিৎসা করতে গিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন এই নির্মাতা।

Related Articles

Back to top button