সাধারণত যখন কোন পাত্র পাত্রী দেখার জন্য হবু পাত্রীর বাড়িতে যায়, তখন শাশুড়িও অনেক সময় পাত্রীর কাছে অবস্থান করেন। এমনও দেখা যায়, পাত্রীর চেয়ে পাত্রীর মাকে অনেক যুবক পছন্দ করে বসেন। এবার তেমন একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবং শেষ পর্যন্ত পাত্রী দেখতে যাওয়া যুবক তার হবু শাশুড়িকে নিয়ে উধাও হয়েছেন। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলার স্বামী। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহের গাজোলে এ ঘটনা ঘটেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়েছিলেন এক যুবক। নববধূর পাশে বসেছিলেন হবু শাশুড়ি। তাকে দেখেই মন হারান যুবক। হবু শাশুড়িরও মন ধরে যায়। এরপর রাতে দুজনে ঘর ছাড়েন। বিবাহযোগ্য কন্যাসহ ওই নারীর ৩ সন্তান রয়েছে।
কনের পরিবারের দাবি, দু’জনই ভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে গেছেন। তবে স্ত্রীকে ‘হারিয়ে’ ছবি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলার স্বামী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরে ওই গৃহবধূ বাড়ি থেকে নিখোঁজ। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধান শুরু হয়েছে।
ওই নারীর স্বামী জানান, বাড়িতে একটি বিবাহযোগ্য মেয়ে রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে ওর বিয়ের জন্য ভালো পাত্রের খোঁজ করছিলাম। ২৫ মার্চ গাজোলের এক যুবক বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে আসে। বাড়িতে আমার মেয়ের সঙ্গে দেখাশোনাও হয়।
এরপর থেকে আমার স্ত্রী নিখোঁজ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ওই দিন যুবক তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলে চলে যাওয়ার পর আমার স্ত্রী বাজারে যাওয়ার অজুহাতে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি।
মহিলার পরিবারের দাবি, তাঁরা জানতে পেরেছেন যে তাঁদের মেয়েকে দেখতে আসা যুবক তাঁকে নিয়ে অন্য রাজ্যে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনার বিষয়ে প্রদীপ কুমার যাদব যিনি মালদহে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি ঘটনার বিষয় বলেন, গাজোল থানায় এসে ওই নারীর স্বামী একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে যেহেতু যারা ঘর ছেড়েছে তারা প্রাপ্তবয়স্. তাই আইনগত পদক্ষেপে যাবে পুলিশ। মহিলার স্বামী যে অভিযোগ করেছে সেই ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
