না ফেরার দেশে বাংলাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা, বিনোদন অঙ্গনে শোকের ছায়া
না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিনোদন জগতের স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার, নাট্যনির্মাতা এবং সাংবাদিক শহিদুল হক খান। প্রয়ানকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। এই খ্যাতিমান এবং গুণী নির্মাতা দেশের বিনোদন জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি তার নির্মাণকাজের নৈপুণ্যতা দিয়ে দর্শকদের মনে একটি বড় স্থান দখল করে নিয়েছেন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন জীবন-মৃ”/ত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। আর্থিক সংকটে চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ক্যা”ন্সারে আক্রা”ন্ত এই নির্মাতা।
১৯৭৩ সালে, তিনি সমরেশ বসুর উপন্যাস অবলম্বনে তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ছুটির ফাঁদে’ তৈরি করেন। বাংলাদেশের প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী ঝুমুর গাঙ্গুলী অভিনীত এই চলচ্চিত্রে তিনি গীতিকার হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এই ছবিতে নিজের লেখা গানের জন্য তিনি গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
এরপর একের পর এক দর্শক-প্রিয় কাজ উপহার দেন এই গুণী নির্মাতা। ১৯৯৪ সালে, তিনি ইমদাদুল হক মিলনের লেখা ‘কোথায় সেজন’ দিয়ে প্রথম প্রযোজক হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্যাকেজ নাটক নির্মাণ শুরু করেন।
এরপর তিনি অসংখ্য টিভি নাটক নির্মাণ করেন। তার হাত ধরেই মিডিয়ায় আসেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পপি। তার নির্মিত ‘নায়ক’ নাটকে পপির সঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
শুধু নাট্য-নির্মাতার ক্ষেত্রে নয় কিংবা চলচ্চিত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নয় শহীদুল হক খান বাংলাদেশের অনেক জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) এর একজন প্রবীণ সদস্য হিসেবে কাজ করেন। বিনোদন জগতের এই গুণী নির্মাতার প্রয়াণে সংস্কৃতি অঙ্গনে অনেকে তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।