জেনে রাখুন

নাক ডাকা বন্ধ করুন

নাক ডাকা কোনও রোগ নয়। তবে যে নাক ডাকে সে টের না পেলেও ব্যাপারটি আশেপাশের মানুষের জন্য খুবই বিরক্তিকর। তাই প্রয়োজন কিছু পরিবর্তনের। জীবনযাপন পদ্ধতি কিছুটা পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা সমস্যা টি সমাধান করা যায়।

নাক ডাকা

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন অনেকেই। আর তাতে বিরক্ত ও অসহ্য হয়ে ওঠেন তার সঙ্গেই ঘুমিয়ে থাকা পাশের মানুষটি। তাবে পাশের জনের চাইতেও নাক ডাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে যিনি এ কাজটি করছেন তার জন্যই। তাই প্রয়োজন নাক ডাকা রোধের উপায়। সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকার এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতেই পারে।

যারা নাক ডাকেন, তারা চিৎ হয়ে না ঘুমিয়ে কাত হয়ে ঘুমোতে পারেন। চিৎ হয়ে ঘুমলে গলার পেশি শিথিল থাকে। ফলে নাক বেশি ডাকার আশঙ্কা থাকে।

স্থুলতার কারণে শুধু ডায়াবেটিস নয়, বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন একজন মানুষ। স্থুলতার কারণেও অনেকে নাক ডাকতে পারেন। বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যায়। এর ফলে শ্বাস নেওয়ার সময় টিস্যুগুলোতে ঘষা লাগে। শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হয়।

অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করার পরে অনেকে নাক ডাকেন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার সময় যারা অ্যালকোহল পান করেন, তারা বেশি নাক ডাকেন। তাই অ্যালকহোল থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।

নাক ডাকা বন্ধ করুন

মাথার নিচে কয়েকটি বালিশ দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে। মাথার নিচে বালিশ দিলে মাথার চেয়ে বুক কম উঁচুতে থাকে। এতে করে নাক ডাকার আশঙ্কা কিছুটা কমে যায়।

ধূমপান করলে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এর কারণেও নাক বেশি ডাকতে পারেন অনেকে। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। এতে করে ঘুমের সঙ্গে শরীরের একধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। ফলে অভ্যেসের পরিবর্তন হয়।

শরীরচর্চা করলে পেশী, রক্ত চলাচল ও হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বাড়ে। শরীরচর্চা করলে ঘুমও ভালো হয়। এ কারণে নাক ডাকা কমাতে হলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এতে করে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হয়ে যায় এবং নাক ডাকা কমে যায়।

নাক পরিস্কার রাখাটা খুবই জরুরি। কারণ, এতে করে একজন ব্যক্তি সহজভবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এ কারণে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে নাক পরিস্কার করতে হবে। এমনকি এ ক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায় খাবার হজম হয়ে যাবে। এর ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।

Related Articles

Back to top button