Abroadদৈনিক খবর

এবার প্রকাশ চাঞ্চল্যকর তথ্য, দুবাইয়ে খোঁজ মিললো ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদের,নেয়া হচ্ছে যে ব্যবস্থা

বাংলাদেশের অনেকেই এখন সম্পদ গড়তে শুরু করেছে বিদেশের মাটিতে। আর এই তালিকায় সব থেকে উপরে রয়েছে ইউরোপের দেশ গুলো। কিন্তু এবার মিললো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে দুবাইয়ে অবস্থানরত ৪৫৯ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পদ কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। আর এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সংগঠনটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র সোমবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে, তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।

এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সুপ্রিম কোর্ট আমাদের তদন্ত করতে বলেছে। কিন্তু অর্ডার পাইনি। আদেশ পেলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করব। তদন্ত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ সত্য-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। দেশের বাইরে টাকা পাচার হলে আমরা কাউকে ছাড় দেব না।

গত ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট দুবাইতে অবস্থানরত ৪৫৯ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পদ ক্রয়ের অভিযোগ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফইউজে) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিভিন্ন সূত্রের মতে, মার্কিন ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সি৪এডিসি) গত বছরের মে মাসে তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে তুলে ধরেছিল যে অর্থ দিয়ে আবাসন সম্পদ ক্রয় যা মূলত পাচার করা হয়েছিল। উপসাগরীয় দেশ সমূহ।

তথ্য গোপন করে, ৪৫৯ বাংলাদেশি দুবাইতে মোট ৯৭২টি আবাসিক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এর জন্য তারা ব্যয় করেছে ৩১৫ মিলিয়ন ডলার। এই সম্পদগুলির মধ্যে, ৬৪টি দুবাইয়ের অভিজাত এলাকা, দুবাই মেরিনায় এবং ১৯টি পাম জুমেইরাতে অবস্থিত। যেখানে অন্তত ১০০ টি ভিলা এবং অন্তত ৫টি ভবন বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে বলে জানা গেছে। চার থেকে পাঁচজন বাংলাদেশি প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক। তবে প্রতিবেদনে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, এ দিকে দুবাইয়ে এত বেশি পরিমানের বাংলাদেশিদের সম্পদ মেলার খবরে চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে। আর এই নিয়ে দুদকের তদন্ত আরো উস্কে দিয়েছে বিষয়টিকে।

Related Articles

Back to top button