দৈনিক খবর

এবার আদালত থেকে মেয়েদের বিষয়ে দু:সংবাদ পেলেন সেই জাপানি মা

জাপানি মা নাকানো এরিকো এবং বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের বিষয়টি নিয়ে নিদারুন পরিস্থিতে পড়েছে আদালত। এর আগে আদালত দুই মেয়ের বিষয়ে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করে মায়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের পর আপিল করেন বাবা ইমরান শরীফ। তারই আপিল শুনানির পর এবার রায় দিলেন আদালত। তাদের দুই সন্তান জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিয়ে নাকানো এরিকো দেশ ছাড়তে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে দুই মেয়েকে হেফাজতের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগ জেলা জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ততদিন পর্যন্ত দুই সন্তান জেসমিন মালেকা ও লায়লা লিনা যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।

মেয়ে দুটিকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাপানি মায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, আপিল বিভাগের অনুমতি, সিভিল রিভিউ পিটিশন এবং এই আদেশের বিরুদ্ধে জাপানি মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেয়ে দুটিকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। বাবা ইমরান শরীফ নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন। কারণ জাপানি মা সন্তানদের দেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুবার চেষ্টা করেছিলেন। মা নাকানো এরিকোও আদালত অবমাননার আবেদন করেন। কারণ, বাবা ইমরান একটি মেয়েকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। এ কারণে তিনি এ আবেদন করেছিলেন।

আপিল বিভাগ বলেছেন, আদালতে সব সমস্যার সমাধান হয় না। উভয় সন্তানের বাবা-মা ডেসপারেট, উল্টো আমরা বিপদে আছি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার পারিবারিক আদালত বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ ও জাপানি মা এরিকো নাকানোর দুই সন্তানকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু ছোট্ট মেয়েটি তার বাবার কাছেই আছে। মা তাকে উদ্ধার করতে গুলশান থানায় জিডি করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে উদ্ধার করে।

এদিকে তিন মেয়ের কল্যানের দিক বিবেচনা করে এই বাবা ও মায়ের এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ বলে জানিয়েছেন সমাজ কল্যান বিশেষজ্ঞরা। তবে দুজনে অনেকটা বিপরীত মানসিকতার কারনে দীর্ঘদিন ধরে এই মামলাটি চলমান রয়েছে। এদিকে তাদের ছোট মেয়ে জাপানে অবস্থান করছে।

Related Articles

Back to top button