বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হলো বিদ্যানন্দ। দীর্ঘদিন ধরে এই সঙ্গঠনটি বাংলাদেশে নানা ধরনের ভালো কাজের সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে এই প্রতিষ্ঠান নিয়েই শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। তাদের বেশ কিছু কর্মকান্ড নিয়ে উঠেছে নানা ধরনের প্রশ্ন। এ দিকে এ নিয়ে এবার একটি লেখনী লিখেছেন মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:
যেটা খারাপ কাজ সেটাকে খারাপ বলতে আমার দ্বিধা নাই। আরেক পেজ থেকে ফটো নিয়ে নিজেদের বলে চালানো নিঃসন্দেহে অসততা! এক গরু কয়েকবার কোরবানী করাও অসততা। এক মজিদ চাচাকে সব জায়গায় হাজির করা হয়ে থাকলে সেটাও অসততা নিশ্চয়ই। এগুলো কোনো ভাবেই ভালো ইমপ্রেশন দেয় না।
এখন এটা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের অপরিপক্কতা কিনা সেটা মানুষ বিবেচনা করতে যাবে না। এর দায় টপ ম্যানেজম্যান্টের উপরও নিশ্চয়ই বর্তাবে। যদিও এগুলা কোনোটাই এখন পর্যন্ত এরকম কিছু প্রমাণ করে না যে তারা ফান্ডের অপব্যবহার করেছে, বা তারা আসলেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্টি।
তারপরও স্বাভাবিক কারনেই তাদের এই সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে অন্য সবার মতো, যারা বিদ্যানন্দের চ্যারিটি কাজ দেখে তাদের প্রশংসা করতাম আরো ভালো করার জন্য, আমারও মন খারাপ! বিদ্যানন্দকেই তাদের এই আবর্জনাগুলা পরিষ্কার করতে হবে। যাঁরা বিদ্যানন্দকে আতশী কাঁচের নীচে রেখেছেন, রাখেন! তাদের ভুল দেখলে ধরিয়ে দেন।
কিন্তু এটাকে যেনো একটা প্রায় যুদ্ধের পর্যায়ে আমরা নিয়ে না যাই। বিদ্যানন্দের কাজ আমাদের চোখে পড়েছিলো, ভালো লেগেছিলো, সেই জন্য প্রশংসা করেছি। খারাপ কাজ করলে সমালোচনা করতে এক মুহুর্তও দেরী করবো না।
<iframe src=” width=”500″ height=”291″ style=”border:none;overflow:hidden” scrolling=”no” frameborder=”0″ allowfullscreen=”true” allow=”autoplay; clipboard-write; encrypted-media; picture-in-picture; web-share”></iframe>
অনেকেই আমাকে লিখেছেন, আপনারা তো আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়ে লিখেন না! ভাই, জানলে বা তাদের কাজ চোখে পড়লে অবশ্যই লিখবো। আমি কোনো ক্যাম্পান্ধ (ক্যাম্পের অন্ধ অনুসারী অর্থে) মানুষ না, ভাই। আমার বাবা তার জীবনের তিরিশ বছর কাটিয়েছিলেন মসজিদ-মাদ্রাসা আর চ্যারিটি নিয়ে। কে চ্যারিটি করছে, সেটা নিয়ে আমার কোনোই উত্তেজনা বা বিরাগ নাই। বিড়াল সাদা না কালো, তার চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারছে কিনা। আপনাদের কাছেও যেনো এটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, এই দোয়া করি। বিড়ালের রং বা পরিচয় দিয়ে যেনো বিড়ালকে জাজ না করি আমরা।
ধন্যবাদ।
প্রসঙ্গত, এ দিকে দেশের এই জনপ্রিয় সেচ্চ্ছাসেবী প্রতিঠানের সম্পদের পরিমান নিয়েও দেখা দিয়েছে বেশ ধোঁয়াশা। ১ টাকার আহার খাওয়ানো থেকে শুরু করে কি ভাবে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এত কিছু করতে পারে তা নিয়ে উঠছে নানা ধরনের প্রশ্ন।