আর সন্তানের মুখ দেখা হলো না প্রবাসী সোহাগের, পাগল প্রায় স্ত্রী
সম্প্রতি বাংলাদেশের একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে প্রয়াত হয়েছেন। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, এক ডাকত দলের খপ্পরে পড়ে প্রন হারান সোগান নামের ওই বাংলাদেশি প্রবাসী। যে ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সোহাগের পরিবারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বাণিজ্যিক রাজধানী জোহানেসবার্গ। ডাকাতের গুলিতে সোহাগ নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে জোহানেসবার্গের ব্রী স্ট্রিটের নোয়াখালী সুপার মার্কেটে এ হ/?ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার ৬নং নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম তান ডলার বাড়ির মো. কোবাদ মিয়ার ছেলে। দেশে তার স্ত্রী ও চার মাসের এক ছেলে রয়েছে। তিনি শিশুটির মুখও দেখতে পাননি।
২০১১ সালে সোহাগ দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন। গত বছর তিনি দেশে গিয়ে রমজানে ফিরে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। সোহাগ দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে নোয়াখালী সুপার মার্কেটে ৮ বছর কাজ করেন।
নিহত সোহাগের সহকর্মী শাহজাহান জানান, দোকান বন্ধ করার আগের মুহূর্ত ছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী সুপার মার্কেটে ৬ ডাকাত ঢুকে ৭ বাংলাদেশি ও ৯ মালাউই কর্মচারীসহ ৯ জনকে জিম্মি করে।
ক্যাশ রেজিস্টার থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় দোকানের নিরাপত্তাকর্মীরা একজন ডাকাতকে ধরার চেষ্টা করে। এ সময় আরও ৫ ডাকাত সোহাগের মাথায় গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ জোহানেসবার্গের হিলব্রু হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এই ঘটনায় কান্নায় পাগল প্রায় সোহাগের স্ত্রী। তার ছেলে বাবাকে দেখার আগেই এতিম হয়ে গেল। এই ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না প্রয়াত সোহাগের স্বজনরা।